ন্যাভিগেশন মেনু

বেনাপোল চেকপোস্টে প্রতিরোধে সতর্কবস্থা


চিনসহ কয়েকটি দেশে সম্প্রতি নতুন নামের ভাইরাস ‘করোনা’ দেখা দেওয়ায় স্থলবন্দর বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে সতর্কাবস্থা জারি করেছে যশোরের স্বাস্থ্য বিভাগ।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত হয়ে যে সকল দেশি -বিদেশি পাসপোর্টযাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করছে তাদেরকে স্বাস্থ্য বিভাগ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে চিনের উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে এ ভাইরাস।

ইতিমধ্যে এপথে ভারত থেকে আসা বিদেশি নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

শনিবার সকালে চেকপোস্ট একজন আইরিশ, চার জন অস্ট্রেলিয়া, দুইজন কানাডার ও একজন আমেরিকাসহ আটজন বিদেশিকে ‘করোনা’ ভাইরাস পরীক্ষা করেন বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য বিভাগের ডাঃ হাসানুজ্জামান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চিনের উহান শহরে একটি নতুন ধরণের ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। ভাইরাসটি  চিনের পূর্বাঞ্চলের একটি মাছের বাজার থেকে ছড়িয়েছে।

জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভাইরাসটি ভয়াবহ সার্স ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৪১ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারাও গেছেন কয়েকজন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগেশনে কর্মরত উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ জানান,  চিনে করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে।

ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়ে অনেকে মারা গেছেন। বাংলাদেশে এ ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ দেশের সকল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে চিঠি জারি করেছে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য। তারা বিদেশি যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া এ ভাইরাসের লক্ষণ সম্পর্কেও সচেতন করছেন।

এ রোগের লক্ষন কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ রোগ সাধারণত জ¦র, মাথা ব্যথা, ঠাণ্ডা কাঁশি, সমস্ত শরীর ব্যথা অনুভবসহ নানান ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যা থেকে নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর রোগ মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এ রোগের তেমন কোন ওষুধ না থাকায় নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যেমে ‘করোনা’ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

চিন থেকে বাংলাদেশে আসা সব যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রবেশের অনুমতি দিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ‘করোনা’ ভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম জানান, ‘করোনা’ ভাইরাস আক্রান্ত কোন পাসপোর্টযাত্রী যাতে কোনো ভাবে দেশে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে সহযোগিতা করছেন ইমিগ্রেশন পুলিশ। বিশেষ করে বিদেশী নাগরিকরা এ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পুলিশ তাদেরকে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করছেন।

উল্লেখ্য ‘করোনা’ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মারা গেছেন ২০ জনের বেশি। ইতিমধ্যে ভাইরাস ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। চীনে থাকা ভারতীয়রাও ভুগছেন ভাইরাসটিতে।

যেহেতু বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কাজে চীনসহ আক্রান্ত দেশের নাগরিকরা প্রচুর পরিমাণে যাতায়াত করে তাই বাংলাদেশেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সিবি  / এস এস