ন্যাভিগেশন মেনু

ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সিএমপি কমিশনারের মতবিনিময়

রমজানে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস সময়মত পরিশোধ করুন


রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং শ্রমিকদের বেতন-বোনাস সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
গার্মেন্টস কর্মীদের নিয়ম অনুযায়ী ছুটি প্রদান করতে ও কোনো গার্মেন্টসে শ্রমিকদের বেতন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে আগে থেকে পুলিশকে অবহিত করতে অনুরোধ জানান তিনি।

এতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মার্কেটের সামনে পার্কিং বন্ধ করা, টহল পুলিশ বাড়ানো, ভাসমান হকার উচ্ছেদ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ বন্ধ ও রমজানে মার্কেটের সামনে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়।

সিএমপি কমিশনার বলেন, মানুষ সবসময় দাবি চাপিয়ে দিতে পছন্দ করে। কিন্তু তাদেরও যে একটা কর্তব্য আছে, সেটি তারা ভুলে যায়। ম্যাক্স এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ করতেছে, সেখানে মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ম্যাক্সের সঙ্গে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সম্পর্ক। কিন্তু সিডিএর কোনো প্রতিনিধি আজকে আসেননি। আমাদেরকে কেউ সহযোগিতা করে না। মানুষ সবকিছুতে পুলিশকে দোষ দেয়।

সিএমপি কমিশনার বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিংসহ মহানগরী এলাকায় রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা দরকার। রমজান মাসে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাসমূহে কোনো প্রকার খোঁড়াখুঁড়ি না করা, যদি কোনো কারণে খোঁড়াখুঁড়ি করার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সিএমপির সঙ্গে সমন্বয় করলে মানুষের ভোগান্তি কমবে।

দোকান মালিক সমিতির উদ্দেশে তিনি বলেন, বখাটে যুবক, হিজড়ার উৎপাত, সন্দেহজনক নারীদের মার্কেটে অহেতুক ঘোরাফেরা সংক্রান্ত তথ্য নিকটস্থ থানাকে অবহিত করতে হবে। মাদক ও ছিনতাই সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে নিকটস্থ থানাকে অবহিত করা। মার্কেটের যানজট নিরসনের জন্য রাস্তায় ও মার্কেটের সামনে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করা। মার্কেটসমূহে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন ও মার্কেটগুলোতে পর্যন্ত লাইটিং এবং জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে। মার্কেটের প্রবেশপথ, ফুটপাত, রাস্তা হকারমুক্ত রাখা। টানা পার্টি, ময়লা ছিটানো পার্টি, ছিনতাই পার্টি, মলম পার্টি ও প্রতারক চক্র চিহ্নিত হলে পুলিশকে অবহিত করা। এসব বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সজাগ থাকতে হবে।