ন্যাভিগেশন মেনু

ভূ-গর্ভে যাচ্ছে চট্টগ্রামের ঝুলন্ত ডিশ-ইন্টারনেটের তার


চট্টগ্রাম নগরে সবচেয়ে বেশি তারের জঞ্জাল চোখে পড়ে নিউমার্কেট মোড়, তামাকুন্ডি লাইন, আন্দরকিল্লা, চেরাগি পাহাড়, টেরিবাজার, জামালখানসহ ৪১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে।

এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তিনটি ওয়ার্ডের ঝুলন্ত ডিশ-ইন্টারনেটের তার ছয় মাসের মধ্যে ভূ-গর্ভে যাচ্ছে। ওয়ার্ড তিনটি হলো- লালখান বাজার, জামালখান ও বাগমনিরাম।

টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলামের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। এ সময় চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বৈদ্যুতিক লাইন, ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভির সংযোগ লাইনের সংযোগ ঝুলন্ত তার, বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তারের বস্তা। এতে একদিকে যেমন নগরী হারাচ্ছে সৌন্দর্য অন্যদিকে বাড়ছে ঝুঁকি। বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। শহরের অপরিকল্পিত ও সমন্বয়হীনভাবে সম্প্রসারিত বিভিন্ন সেবা সংস্থার ঝুলন্ত তারের কারণে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনাও ঘটছে।

চসিক মেয়র জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে স্মার্ট চট্টগ্রাম গড়ার লক্ষ্যে আমাদের এ উদ্যোগ। আজ চট্টগ্রামে এক নতুন যুগের সূচনা হল। সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ডিশ, ইন্টারনেট সংযোগ ক্যাবল ব্যবস্থাপনা হলে বৈদ্যুতিক পিলারে দুর্ঘটনা কমবে, শহরের সৌন্দর্য বাড়বে৷ আবার তার কাটা ও চুরি রোধ হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে। বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চট্টগ্রামের যে গুরুত্ব আছে তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে তারের জঞ্জালের জন্য। নগরীর সৌন্দর্য ও নিরাপত্তার স্বার্থে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারের জঞ্জাল অপসারণ করতে চাই। আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩টি ওয়ার্ডের ঝুলন্ত ডিশ-ইন্টারনেটের তার ভূ-গর্ভে নিব আমরা৷ এরপর তিন ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পুরো নগরীর ডিশ-ইন্টারনেটের তার ভূ-গর্ভে নিব আমরা৷

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম বলেন, ড্রেনেজ এবং স্যুয়ারেজ সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে ডাক্টিং করে আমরা জলনিরোধক ফাইবার অপটিক অবকাঠামো গড়ে তুলব। ’ফাইবার টু দ্যা হোম’ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মূল সড়ক থেকে অলি-গলি এবং সেখান থেকে প্রতিটি বাড়িতে সংযোগ দেয়া হবে। আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে কোন আইএসপি যত ইচ্ছা গতির সংযোগ গ্রহণ করতে পারবে। সেবা প্রদানে কোন ধরনের বাধা ‍সৃষ্টি হবেনা। আগামী ৫ বছরের মধ্যে ডিশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানরা ডিজিটাল ডিশ ক্যাবল চালু করবে এ বিষয়টিও মাথায় রাখব আমরা। ৩টি ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পুরো শহরকে তারের জঞ্জালমুক্ত করব আমরা।”

চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, শৈবাল দাস সুমন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম, বোর্ড ডিরেক্টর ফাদিয়া খানসহ চসিক ও সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের কর্মকর্তারা।