লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের আত্তামরীণ ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার আবাসিক ১০ বছর বয়সি এক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষকসহ মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে সোমবার (১ মার্চ) রাতে ছাত্রের মা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন - মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মো. মাসুম বিল্লাহ (২৪) ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রশিদ মোহাম্মদ ইউসুফ (৪৫)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারের আফজাল রোড সংলগ্ন আত্তামরীন ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের আবাসিক এক শিশু ছাত্রকে (১০) রাতে খাবার রুমে ডেকে নিয়ে হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মো. মাসুম বিল্লাহ প্রায়ই যৌন নির্যাতন করতো এবং এ কথা কাউকে না জানাতে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিতো।
মাদরাসা ১ সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করলে শিশুটি বাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে মাদ্রাসা খোলা হলে শিশুটি মাদ্রাসায় আসতে না চাওয়ায় তার মা কারণ জানতে চাইলে শিশুটি শিক্ষক কর্তৃক যৌন নির্যাতনের কথা খুলে বলে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে শিশুটির মা মাদ্রাসায় এসে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রশিদ মোহাম্মদ ইউসুফকে বিষয়টি জানিয়ে তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ জানায়।
কিন্তু মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ এ ঘটনার কোন তদন্ত না করে পরদিন শনিবার শিশুটিকে মারধর করেন।
সোমবার মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে শিশুটির মা ও অন্যান্যরা মাদ্রাসায় এসে শিশুটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় খবর দেন।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম ফজলুল হক জানান, অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মো. মাসুম বিল্লাহ ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রশিদ মোহাম্মদ ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওয়াই এ/এডিবি
