ন্যাভিগেশন মেনু

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘স্বপ্নের নীড়’


‘আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে মুজিব জন্মশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সারা দেশের ন্যায় পাবনায় ১ হাজার ৮৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে ‘স্বপ্নের নীড়’।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি ) আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করবেন। পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে (প্রত্যেকটি বাড়ি ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৪০০ টাকা) মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায় গৃহহীনদের মাঝে দুই শতক জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

পাবনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পাবনা জেলার ৯ উপজেলার ১ হাজার ৮৬টি গৃহহীন পরিবার আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকাঘর পাবে। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুইকক্ষের আবাসন। আরও থাকছে একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা।

ইউপি চেয়ারম্যানরা ছিন্নমূল ও ভূমিহীন পরিবারের তালিকা পাঠান সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। সেসব তথ্য উপজেলা ভূমি অফিস থেকে জমি-বাড়ি নেই এমন পরিবারের তালিকা যাচাই-বাছাই করে পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। গৃহহীনদের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। ঘরগুলো যাতে টেকসই এবং মানসম্মত হয় সেজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং কমিটি নিয়মিত তদারকি করছেন।

ইতোমধ্যে ঘরগুলি নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্য়ায়ে। পাবনা সদর উপজেলায় ৪৪৯টি, সাথিঁয়ায় ৩৭২টি, আটঘরিয়ায় ৮৫টি, ফরিদপুরে ৫০টি, ঈশ্বরদীতে ৫০টি, চাটমোহরে ৩০টি, সুজানগরে ২০টি, বেড়ায় ২০টি এবং ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ১০টি পরিবার এই স্বপ্নের নীড় পাবে।

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে গৃহহীনদের এ সব ঘর দেওয়া হচ্ছে।

পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার মুজিববর্ষে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না - এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই কার্যক্রম। প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনরাই পাবেন এ ঘরগুলো। এর ফলে পরিবারগুলো পাবে সামাজিক মর্যাদা ও নতুন ঠিকানা। ঘর বরাদ্দে কোন ধরনের অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা না নিতে পারে সে জন্য সঠিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন ঘরের কাজের মান শতভাগ ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।

পাবনা সদর উপজেলার চরআশুতোষপুরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বিধবা রাশিদা খাতুন (৭০) ভিক্ষে করে দিনাতিপাত করেন। জগত-সংসারে তার কেউ নেই। মাসে আয় এক হাজার টাকা। পলিথিনে মোড়ানো খুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবার সে একটি পাকাঘর পাচ্ছে। চোখে মুখে তার আনন্দের শেষ নেই।

রাশিদা খাতুন বলেন, “বিল্ডিং ঘরে থাকমু জীবনে স্বপ্নও দেহিনাই; মুজিবের বেটি আমগোরে বিল্ডিং ঘর দিবো চিন্তাও করিনাই। আল্লাহ তাকে হায়াত দারাজ করুন।”

একই এলাকার মমতাজ বেগম (৬৫), সামেলা খাতুন, মর্জিনা খাতুন, বিধবা ইয়াসমিন খাতুন বাছিরুন বেওয়া, তজেম আলী, সামু মন্ডলসহ অনেকেই এ রকম শুকিরয়ার কথা জানান।

কেএস/ওয়াই এ/এডিবি