ন্যাভিগেশন মেনু

মুন্সীগঞ্জে বস্তিতে আগুনে ৪৬ পরিবার গৃহহারা


মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হাড়িদিয়া গ্রামের একটি বস্তি পুড়ে গেছে। এতে ৪৬টি পরিবারের সবকিছু পুড়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) গভীর রাতের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পরে শ্রীনগরের ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসার আগেই গ্রামবাসীর আধাঘণ্টা চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে পরে ফায়ার সার্ভিস আরও আড়াই ঘন্টা চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে দেয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন করির জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি সাহায্যের আওতায় আনা হচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি জানান, 'পরিবারগুলোকে খাদ্যসাহায়তা ছাড়াও টিন দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।'

বস্তির মালিক জহির দেওয়ানের দাবি, 'পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ মনির দেওয়ান, খোকন মুন্সী, লিটন ঢালী, শরীফ আমার বস্তিতে আগুন দিয়েছে। এর আগেও দুইবার আগুন দিয়েছিল। আশেপাশের লোকজন থাকাতে আগুন নিভাতে পেরেছিলাম। কিন্তু এইবার আগুনে সব শেষ হয়ে গেলো।'

তিনি আরও জানান, 'এর আগে আগুন লাগানোর ঘটনায় তাদের নামে আমি লৌহজং থানায় জিডি করেছিলাম।'

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন ঘটনাস্থল ঘুরে এসে জানান, ঘরের ভিতর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এখানে বহিরাগত দিনমজুর-শ্রমিকেরা পরিবার নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানিয়েছে, আগুনে তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা, আসবাবসহ মূল্যবান জিনিষ পড়ছে গেছে। কাঠ ও টিনশেডের তৈরি হাড়িদিয়া গ্রামের এই বস্তিতে ৫০টি পরিবারের থাকার জায়গার মধ্য থেকে ৪৬টি থাকার জায়গা পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। 

শ্রীনগর ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, '১০টি ঘর পুড়েছে। তবে এই ঘরগুলোতেই প্রায় ৪৬ পরিবার বসবাস করতো। ক্ষতির পরিমান ১২ লাখ টাকা হবে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী ৫০ লাখ টাকা।'

এনইউ/এডিবি/