ন্যাভিগেশন মেনু

মুন্সীগঞ্জে সেনাবাহিনীর জিওসির লকডাউন পরিস্থিতি পরিদর্শন


মুন্সীগঞ্জে লকডাউন পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক।

রবিবার (৩ জুলাই) মুন্সীগঞ্জ শহরের পৌরসভা চত্ত্বর এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এর আগে সাভার থেকে আসার পথে তিনি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা বাজারে লকডাউন পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।

লকডাউন পরিস্থিতি পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, 'মাস্ক পরিধানের কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজন ছাড়া কারও বাইরে যাওয়া উচিত নয়। ঘরে থাকাই হচ্ছে এখন সবচেয়ে বড় বুদ্ধিমানের কাজ। যে মহামরি করোনা আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে, এটাকে মোকাবেলার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং ঘরে থাকার কোন বিকল্প নেই।'

এ সময় তিনি সরকারি নির্দেশনায় লকডাউন বাস্তবায়নে যারা মাঠে কাজ করছেন এসব কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। তিনি এখানকার লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময় আরও ছিলেন ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ১৯ বি মাওয়া সেনানিবাসের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো আরিফুর রহমান, টহল অধিনায়ক ১৯ বি মাওয়া সেনানিবাসের ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ মাহিন, বিজিবির নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের প্রধান লে. কর্নেল আল আমিন। 

পরে জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করে মাদারীপুরের পথে রওনা করেন।

এদিকে মুন্সীগঞ্জে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বাত্মক লকডাউনে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করায় ৫২ জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই ৫২ জনের কাছ থেকে ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। জেলাব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান চলছে।

সড়ক ও নৌপথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে। নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটগণের সাথে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ ও আনসার সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করছেন।

মুন্সীগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট ৬ হাজার ১৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর মধ্যে মারা গেছেন ৭৩ জন।

জেলার গুরুত্বপূর্ণ ১৭ পয়েন্টে চেকপোস্ট রাখা হয়েছে। মাঠে রয়েছে ৪ শতাধিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ২১ জন নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রিটের নেতৃত্বে জেলাব্যাপী পরিচালিত হচ্ছে ২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এনইউ/এডিবি/