ন্যাভিগেশন মেনু

যারা হরতাল ডেকেছে তারাই ট্রেনে আগুন দিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার


ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, যারা অবরোধ হরতাল ডেকেছে তারাই তেজগাঁওয়ে রেলস্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস নামের ট্রেনে আগুন দিয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) তেজগাঁও রেল স্টেশনে ট্রেনের নাশকতার ঘটনায় আহত ও নিহতদের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে এ কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, যারা অবরোধ-হরতাল দিচ্ছে তারাই এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছিল। গাজীপুরে রেলের লাইন কেটে ফেলা হয়েছিল এবং সেখানে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া তেজগাঁওয়ে রেলের আগুনকেও আমি হত্যা বলতে চাই।  

রেল পুলিশ রয়েছে, তারা ট্রেনের মধ্যে থাকেন। এরপরেও রেলে আগুন কীভাবে লাগলো। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। একজনকে আমরা আহত পেয়েছি, তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার কাছে যতটুকু জানা গেছে, ট্রেনের ভেতর যারা ছিল তারাই আগুন দিয়েছে। তিনি দেখেছেন সিটের ভেতরে প্রথমে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ধোঁয়ায় চারিদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় যাত্রীরা যে যেদিকে পারে ছোটাছুটি করতে থাকেন। কেউ জানালা দিয়ে কেউবা দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে বাইরে আসার চেষ্টা করেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ভোর ৫টার সময় ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছায়। সেখান থেকে কমলাপুরের উদ্দেশে যখন রওনা করে বনানী-কাকলির কাছাকাছি আসলে ‘‘জ’’ বগির ভেতরে যাত্রীরা প্রথমে আগুন দেখতে পায়। অনেকেই লাফ দিয়ে বগি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তবে চার জনকে পুড়িয়ে সেখানে হত্যা করা হয়েছে। এরমধ্যে এক মা ও তার ছেলে ইয়াসিনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকি দুজনকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তাদের শনাক্ত করার জন্য চেষ্টা করছে সিআইডি। বিভৎসভাবে পুড়ে যাওয়ায় তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে যেন পরবর্তী সময়ে শনাক্ত করা যায়।

এই ঘটনায় কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।  

তিনি বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কোনো অবস্থাতেই পার পাবে না। অতীতেও পার পায়নি। বাস-ট্রেনে জ্বালাও পোড়াওয়ের প্রত্যেকটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে ও রাজনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তারা এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।

দেশ থেকে এ ধরনের নির্দেশনা নাকি দেশের বাইরে থেকে এসেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে, জ্বালাও-পোড়াও করছে, যারা নাশকতা করছে তাদের বিদেশি নেতাদের দেশীয় এজেন্ট-অনুসারীদের দিয়ে এসব কাজ করানো হচ্ছে। যা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।