ন্যাভিগেশন মেনু

যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতির সুফল পাচ্ছে ৩ জেলার মানুষ


একসময় দিনাজপুর রেলওয়ে ষ্টেশন মরুভূমিতে পরিণত হয়েছিল। সেই মরুভূমিতেই আজ মানুষের অবাধ বিচরণ। বেড়েছে ব্যবসা বাণিজ্য, সেই সাথে বেড়েছে দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে মুহুতেই যোগাযোগ। কমেছে টিকিট কালোবাজারীদের দৌরত্ব।

বিশাল বাজেটে নির্মিত হচ্ছে দিনাজপুর রেলওয়ে ষ্টেশন। হয়তো খুব তাড়াতাড়িই উদ্বোধন হবে এই রেলওয়ে ষ্টেশনটি। এখন এই স্টেশন হয়ে দৈনিক ১৬টি ট্রেন চলাচল করছে। অতীতে এতো ট্রেন বৃহত্তর দিনাজপুরের মানুষ কখনও দেখেনি। ষ্টেশনগুলিতে হরহামেশাই থাকছে লোক সমাগম।

দিনাজপুর রেলওয়ে ষ্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট (এসএস) এবিএম জিয়াউর রহমান জিয়া আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কালোবাজারীদের কৌশলে দমন করা হয়েছে। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে তাদের সিন্ডিকেট। ষ্টেশনে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হচ্ছে। সম্মানিত যাত্রীরা যাতে ষ্টেশন এবং ট্রেনে কোন রকম অসুবিধায় না পড়েন সেই জন্য নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

দিনাজপুর জিআরপি পুলিশ পরিদর্শক মোঃ গুলজার হোসেন বলেন, এতোদিন রেলওয়ে ষ্টেশনে বখাটে, ছিনতাইকারী, পকেটমারসহ নানা সমস্যা ছিল। যা বর্তমানে অনেকাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এখন আর তেমন কিছুই লক্ষ্য করা যায় না। আমাদের ফোর্স সম্মানিত যাত্রীদের যানমাল নিরাপত্তার দায়িত্ব সতর্কতার সাথে পালন করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) এসআই সারোয়ার বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা যাতে করে রেলওয়ে মালামাল চুরি, অন্যান্য আপত্তিকর ঘটনা ষ্টেশন ও ট্রেনে না ঘটে সেই ব্যাপারে রয়েছে আমাদের কঠোর নজরদারি।

বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ দিনাজপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ মাজেদুল ইসলাম (মাজেদ) বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় সুফল পাচ্ছে বৃহত্তর দিনাজপুরের ৩ জেলার মানুষ।

এএস/ ওয়াই এ/এডিবি