ন্যাভিগেশন মেনু

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিহত ৪ জনের মধ্যে ২ জন বাংলাদেশি


কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষে দুই বাংলাদেশিসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চলমান সংঘর্ষে দুই বাংলাদেশি ও দুই রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়।

সকালে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িত ৯ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে টেকনাফের চাকমারকুল এলাকা থেকে দেশিয় তৈরি চারটি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড কার্তুজ, ধারালো কিরিচ, লোহার রড আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।

নিহত বাংলাদেশি দুই যুবক হচ্ছেন, নুরুল হুদা ও আবুল বশর। নুরুল হুদা মাইক্রোবাস চালক ও বশর তার সহযোগী। দুজনের বাড়িই টেকনাফর হ্নীলা এলাকায়।

নিহত অপর দুইজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর গিয়াস উদ্দিন ও ফারুক।

এ বিষয়ে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোঃ আলী জানিয়েছেন, ‘নোহা গাড়ীর চালক নুরুল হুদা এবং আবুল বশর তার এলাকার বাসিন্দা। আজ সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি ওই দুইজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।’

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘রোহিঙ্গা দু’সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ভোর রাতে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। নিহতদেও মধ্যে ২ জন স্থানীয় ও ২ জন রোহিঙ্গা। এরমধ্যে একজনের গলাকাটা ও অপর ৩ জন গুলিবিদ্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব, এপিবিএন সদস্যরা কাজ করছে।

গত এক সপ্তাহে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। ঘরবাড়ি ও দোকান ভাংচুর হয়েছে অর্ধশতাধিক।

এসএএম/এমআইআর/এডিবি