ন্যাভিগেশন মেনু

শরীয়তপুরে আধাবেলা হরতাল পালিত


পিপি হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাইয়ের হত্যা মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে শরীয়তপুরে অর্ধবেলা হরতাল পালিত হয়েছে।

সোমবার (২২ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ হরতাল পালন করা হয়।

হরতাল চলাকালীন শরীয়তপুর জেলা শহর থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। হরতালকে কেন্দ্র করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এদিকে নিহতদের পরিবার-পরিজন ও হরতাল সমর্থকরা শহরের পাকার মাথা, শরীয়তপুর পৌরসভার সামনে, পুলিশবক্সের সামনে, সদর হাসপাতালের সামনের সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে রাস্তা অবরোধ করে রাখে।

এই বিষয়ে নিহত অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমানের ছেলে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, 'আমার বাবা ও চাচাকে দিনের আলোয় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রকৃত খুনীদের আড়াল করে ২০ বছর পরে এই হত্যা মামলার রায় প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছি। এ হত্যার রায় আমরা মানি না। প্রকৃত খুনিদের ফাঁসির আদেশ যদি না হয়, তাহলে আমার বাবা-চাচার আত্মা শান্তি পাবে না। আর আমার পিতা ও চাচাকে যারা ভালোবাসতো তারাই আজ ফুঁসে উঠেছে,তারা হরতাল ডেকে সকাল ৬ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল পালন করছেন।'

জেলা তৃণমূল আওয়ামী লীগ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান পাহাড় বলেন, 'আসামীরা খুনি। ওরা বিএনপির সন্ত্রাস বাহিনী হেমায়েত উল্লাহ্ আওরঙ্গর লোক। ওই খুনিরা হাবীবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেন মুন্সিকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। দীর্ঘ ২০ বছর পর সেই হত্যার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে হত্যার প্রমাণ রয়েছে তাদের অনেকেই খালাস পেয়েছেন। এটা দুঃখজনক। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়। প্রকৃত খুনিদের ফাঁসির আদেশ দিতে হবে।'

এদিকে রবিবার (২১ মার্চ) দুপুর ২টায় আইনজীবী হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন মুন্সির হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসির আদেশ ও ৪ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খালাস পেয়েছেন ৩৯ জন। তবে সাজাপ্রাপ্ত ৫ আসামী এখনও পলাতক রয়েছে।

আর এইচ আর/ এস এ /এডিবি