ন্যাভিগেশন মেনু

শরীয়তপুরে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থীর একযোগে বৃক্ষরোপণ


‘মুজিববর্ষে বৃক্ষরোপণ করি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাড়িতে থেকেই জুম অ্যাপে যুক্ত হয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন শরীয়তপুরে মজিদ জরিনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নরকলিকাতা মজিদ জরিনা স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে অনলাইন প্লাটফর্মে ১ হাজার বৃক্ষরোপণের এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা করোনা মহামারির সময়েও যার যার অবস্থানে থেকে তাদের অভিভাবকদের সহযোগিতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একযোগে দিনব্যাপী এই কর্মযজ্ঞে অংশ নেয়।

বাড়ির ছাদ, বারান্দা, ঘরের আঙিনা, এমনকি রাস্তার দুইপাশের পতিত জমিতে তারা গাছের চারা রোপণ করার মাধ্যমে বিশাল কর্মকাণ্ড সফল করে তোলে।

বৃক্ষরোপণ উদ্বোধনের আগে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ এম ফরিদুল আল হোসাইন ভার্চুয়ালি শিক্ষার্থী এবং অভিভাকদের সাথে আলোচনা করেন।

তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের এই মহতী উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এই ভিন্নধর্মী যুগোপযোগী আয়োজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দিতে পারলে মানুষের মধ্যে সচেতনতার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণের গণজোয়ার শুরু হবে। দেশে বৃক্ষরোপণ তথা অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি এ সময় নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মজিদ জরিনা স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনলাইনের মাধ্যমে যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সত্যিই প্রশংসনীয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের সবাইকে বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসা উচিত। বিশেষ করে ভেষজ ও ফলজ গাছ লাগাতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আজকে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অংশ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদ উজ্জামান, মজিদ জরিনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী নুরুল ইসলাম ও কলেজের শিক্ষক ও স্কাউট সদস্যরা।

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক প্রতিষ্ঠিত মজিদ জরিনা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই করোনার সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম, অনলাইন সহশিক্ষা কার্যক্রম, অনলাইন বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং অনলাইন স্কাউট কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

আরএইচআর/সিবি/এডিবি/