ন্যাভিগেশন মেনু

শাজাহানপুরে আমন ক্ষেতে নানা রোগবালাই


বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে রোপা আমন ক্ষেতে পাতা পোড়া, মাজরা পোকা, খোলপোড়া, ইদুরের আক্রমনসহ নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে।

বিস্তীর্ণ ফসলের মাঝে যখন সবুজের সমারোহ তখন এসব রোগে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শংকায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন কৃষকরা।

অপরদিকে, রোগবালাই প্রতিরোধ করে আমনের বাম্পার ফলন নিশ্চিত করতে মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে ব্রি-ধান ৪৯, ৪ হাজার হেক্টর জমিতে রনজিৎ, ২ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে কাটারীভোগ জাতের ধান চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও ব্রি-৩৪ ধানসহ নানা জাতের ধান রোপণ করেছেন চাষিরা।

উপজেলার চেলো গ্রামের ধান চাষী মেহের আলম জানিয়েছেন, চলতি বছর মুসুলধারে বৃষ্টির কারনে পোকার আক্রমণ বেশি হয়েছে। বিগত বছরে আমন ধানে দুইদফা কীটনাশক প্রয়োগে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এ বছর আমন ক্ষেতে চারদফা কীটনাশক দিতে হয়েছে। পোকার আক্রমণ হলেও বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কৃষিবিদরা জানিয়েছেন, কাটারীভোগ জাতের ধান বোরো এবং আমন দুই মৌসুমেই ফলানো যায়। তবে আমন মৌসুমে এ ধানে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ বেশি হয়। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে এবং লাভ কম হবে। তাই আমন মৌসুমে কাটারীভোগ ধানের চাষ না করাই ভালো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম জানিয়েছেন, এ বছর শাজাহানপুর উপজেলায় রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সার্বিকভাবে আমনের মাঠ ভাল আছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাঝেমধ্যে কিছু জমিতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ও কিছু রোগবালাই দেখা যাচ্ছে। এসব রোগবালাই প্রতিরোধে অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাসুম কবীরসহ ২১ জন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা পুরো উপজেলা চষে বেড়াচ্ছেন। তারা উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণ, আলোক ফাঁদ তৈরি, পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করছেন।

এস এ/এডিবি