ন্যাভিগেশন মেনু

শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে


মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বিভিন্ন সমসাময়িক কারণে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস চর্চার অভাবে মুক্তিযুদ্ধের অনেক তথ্যই ভূল বা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। সরকার এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে সঠিক তথ্যবহুল বই পড়তে হবে। গত বৃহস্পতিবার সিলেট মেট্রোপলিটন ইউভার্সিটির অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমান মিলনায়তনে জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত ‘এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।     

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা শুনান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন।  এতে আরো বক্তব্য প্রদান করেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিহির কান্তি চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার প্রমুখ।   

এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশকে ভালোবাসতে হলে জাতীয় পতাকাকে সম্মান ও  জাতীয় সংগীতকে ভালোবাসতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে স্মরণ করতে হবে কারণ তাঁদের আত্মদানের ফলে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। নতুন প্রজন্মকে পাকিস্তানিদের শোষণের ইতিহাস জানতে হবে। শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। 

দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান বক্তারা।

পরবর্তীতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি উপহার দেওয়া হয়।