ন্যাভিগেশন মেনু

শিমুলিয়ায় জনস্রোত অব্যাহত


করোনা মহামারি রোধে ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় রাজধানী ছেড়ে আসা লাখো মানুষের ঢল এখন শিমুলিয়া ঘাটে। পদ্মা নদী পাড় হয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তারা। ফেরিতে বাদুড়ঝোলা অবস্থায় প্রায় ১১ কিলোমিটারের এই নৌপথ ঝুকি নিয়ে পার হচ্ছেন। কখও রোদে পুড়ছেন আবার কখনও বৃষ্টিতে ভিজছেন। এই দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়,  দুই-চারটি অ্যাম্বুলেন্স আর অন্য যান ছাড়া ফেরি ভর্তি মানুষ আর মানুষ। ফেরির ডেকে জায়গা না হওয়ায় রেলিং,  সিঁড়ি, উপরের নামাজের স্থান কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই।

চারটি ঘাট থেকেই ফেরি রওয়ানা হচ্ছে গায়ের সাথে গা লাগা মানুষের ভিড় নিয়ে। অনেকের মাস্ক পর্যন্ত পরছেন না।

লকডাউন উপেক্ষা করে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে অমানবিকভাবে বাড়িফেরা যেন থামছেই না। 

কাজকর্ম না থাকাসহ নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন রাজধানী ছাড়া এসব যাত্রীরা।

লকডাউন তথা সকল বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শিমুলিয়ায় জনস্রোত বন্ধ না হওয়ায় হিমশিম খাওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন আত্মসমর্পণ করছে।

মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল কবির বলেন, 'ঘাটে যারা চলেই আসছে তাদের দ্রত পাড় করে দেওয়াই একমাত্র চেষ্টা এখন। মানুষ কিছুই বুঝতে চাইছে না।'

শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি'র ব্যবস্থাপক আহাম্মদ আলী বলেন, 'জরুরি পরিষেবার যান আর পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য ফেরি সচল রাখা হলেও ফেরি এখন যাত্রীদের দখলে। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে এই রুটের ১৬টি ফেরির ১৫টিই এখন চলাচল করেছে। তারপরও হিমশিম খেতে হচ্ছে। যাত্রীরা কোনো কথা শুনছেন না। এখানে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নাই। গাদাগাদি করে তারা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই।'

তিনি জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এই নৌরুটের লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এনইউ/এডিবি/