ন্যাভিগেশন মেনু

শীতে কদর বেড়েছে নলেন গুড়ের সন্দেশের


শীতের শুরু থেকেই কদর বেড়েছে নলেন গুড়ের সন্দেশের। হ্যাঁ, যদি হয় নড়াইলের লোহাগড়ার ‘নলেন গুড়ের খাঁটি সন্দেশ’ তবে তো কথাই নেই। এই সন্দেশের খ্যাতি এখন দেশে ছাড়িয়ে বিদেশেও।

যিনি কখনো লোহাগড়ার নলেন গুড়ের সন্দেশের স্বাদ গ্রহণ করেননি তিনি তো আর বুঝবেন না, কি স্বাদ থেকে বঞ্চিত করেছেন নিজেকে।

লোহাগড়ার লক্ষীপাশা খেয়াঘাটের সাহা সুইটসের নলেন গুড়ের সন্দেশের খ্যাতি এখন জেলা ছাড়িয়ে গেছে। যেকোনো অনুষ্ঠানে সাহা সুইটসের মিষ্টি ছাড়া যেনো অনেকটাই অপূর্ণতা থেকে যায়।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে এ সন্দেশের গুণের কথা পৌঁছে যাচ্ছে। শীত মৌসুমে গাছিদের কাছ থেকে দোকানদাররা খেঁজুর গাছের খাঁটি নলেন রস সংগ্রহ করে থাকে। সেই রস থেকেই নলেন গুড় তৈরী হয়। আর এ গুড় থেকেই তৈরী হয় সন্দেশ।

প্রতিকেজি সন্দেশ ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায় এলাকায় বিক্রি হয়। 

প্রতি দিন গড়ে ওই দোকানে ৩ থেকে ৪ মণ মিষ্টি বিক্রি হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বিশেষ করে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দিন ওই দোকানের মিষ্টি কেনার হিড়িক পড়ে যায়। এ সন্দেশ খেতে চলে আসে ঢাকাসহ আশেপাশের জেলার মিষ্টিপ্রেমী মানুষ। এ সন্দেশ বিদেশেও সমাদৃত হচ্ছে। প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে এর স্বাদ নিচ্ছেন।

সাহা সুইটস এর বর্তমান পরিচালক নলেন গুড়ের সন্দেসের কারিগর প্রকৌশলী অভিজিত সাহা অভি জানান, ‘১৯৭১ সালে আমার দাদা শচীন্দ্র নাথ সাহা নলেন গুড়ের সন্দেশ তৈরী করে বিক্রি করতেন। বাজারে প্রচুর চাহিদা ও সুনাম থাকায় দাদার মৃত্যুর পর দাদি নমিতা রাণী সাহা হাল ধরেন। নলেন গুড়ের সন্দেশ তৈরী ও বিক্রি  আমাদের পৈত্রিক ঐতিহ্য হিসাবেই যেন রয়েছে। ভোক্তাদের হাতে ভালোমানের মিষ্টি বা খাঁটি নলেন গুড়ের সন্দেশ তুলে দিতে পারলে নিজেরাও খুব তৃপ্ত হই। সৌদি আরব, দুবাই, আমেরিকা, জাপান, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এই সন্দেশ লোকমারফত হরহামেশাই যাচ্ছে। তবে, ভারতেই বেশি চাহিদা।‘ 

রাজুপুর গ্রামের বাসিন্দা সহকারী শিক্ষা অফিসার চঞ্চল শেখ বলেন, ‘অন্য জেলা থেকে লোহাগড়ায় কেউ বেড়াতে আসলে তাকে অন্তত নলেন গুড়ের সন্দেশ না খেয়ে যেতে দেই না।‘

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সন্দেশ ছাড়াও রয়েছে নলেন গুড়ের চমচম। কেজি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। এর চাহিদাও  অনেক। বছরের প্রায় ছয় মাস এ সন্দেশ ও চমচম পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন জেলায় অনলাইনের মাধ্যমেও এসব মিষ্টি হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে।

সিবি/এডিবি