ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রাম থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি মনোনয়নে চমক হতে পারেন এডভোকেট জিনাত

চট্টগ্রামের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যের সম্ভাব্য তালিকায় আছেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক ও সিডিএ’র (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) বোর্ড মেম্বার এডভোকেট জিনাত সোহানা চোধুরী। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ব্যতিক্রমধর্মী প্রচারণা করে অনেক প্রশংসা পেয়েছিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার পোশাক শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সাজ ও গানের মাধ্যমে আনন্দ, উৎসবে আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্রের প্ল্যাকার্ড প্রচার। পাশাপাশি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে শ্রমিকদের ভোটদানে উৎসাহ প্রদান ও নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে 

ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজন করেছিলেন।  তিনি সমাজসেবা থেকে শুরু শিক্ষা, বাণিজ্য, ব্যবসায় সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। একই সাথে  বেসরকারি কারা পরিদর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। চলতি মাসেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে। সংসদের প্রথম অধিবেশনে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম সর্বোচ্চসংখ্যক ১০ জন সংরক্ষিত নারী এমপি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য হতে এবার তৎপরতা শুরু হয়েছে। চলতি মাসেই ঘোষণা করা হতে পারে তফসিল।

সংশ্লিষ্টদের মতে, মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীতের প্রচলন শুরু এবং শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে না জড়ানোর শপথের ধারাবাহিকতা এডভোকেট জিনাত সোহানা চোধুরীর অনন্য অবদান রেখেছেন। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে চট্টগ্রামের হালিশহরে করোনা আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে সারাদেশের নারীদের কাছে অনুকরণীয় উদ্দোক্তা হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারীদের নিয়ে নৌকার পক্ষে তার ব্যতিক্রমী প্রচারণা নজর কেড়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের। 

উল্লেখ্য, এডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সদস্য, চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স ও উইমেন্স চেম্বার এন্ড কমার্সের সদস্যের পাশাপাশি ফারমিন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে পোশাক পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

অন্যদিকে জিনাত সোহানা চৌধুরীর স্বামী মোহাম্মদ ইমরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগে দীর্ঘ সময় তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছেন। ত্যাগী ও আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কর্মী ও এলাকায় দানবীর হিসেব আছে তার বেশ পরিচিতি অন্যদিকে চট্টগ্রামের নারীনেত্রী এডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী সারাদেশে নতুন প্রজন্মের কাছে একটি অতিপরিচিত নাম হিসেবে সমাজের নানা ক্ষেত্রে অবদান রেখে গেছেন।

তিনি করোনার ভরা যৌবনে মৃত্যুর চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন করোনাযুদ্ধে। দিনরাত করোনা রোগীদের পাশে থেকে পরম মমতায় তাদের সুস্থ করেছেন। তাহের নাহার ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থার  হয়ে ৩৫০টিরও অধিক সেমি পাকা গৃহনির্মাণ করে দিয়েছেন সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ।

জানা যায়, এডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম নারী যিনি চট্টগ্রামের শতাধিক মাদ্রাসায় গিয়ে হাজারো শিক্ষার্থীর সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত, জয় বাংলা স্লোগান ধ্বনিত করে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের শুনিয়েছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্প। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের শপথ করিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার।

মনোবল থাকলে দেশের জন্য কাজ করতে নারীত্ব যে কোনো বাধা নয় তার অনন্য উদাহরণ জিনাত সোহানা চোধুরী । দেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর কাছ থেকে এসেছে শত বাধা, এসেছে প্রাণনাশের হুমকিও। কিন্তু কোন কিছুই দমাতে পারেনি তাকে । বরং পথ মাড়িয়েছেন দ্বিগুণ উৎসাহে। এভাবেই তরুণ সংগঠক, রাজনীতিক ও আইনজীবী জিনাত সোহানা চৌধুরী এভাবে তরুন প্রজন্মের কাছেই ‘আইকন’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

চট্টগ্রামের কিছু মাদ্রাসার পরিচালক পর্ষদ জানায়,  নগরীর বিভিন্ন মাদরাসায় অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন জিনাত সোহানা । তার ধারাবাহিক কর্মসূচির কারণে সাধারণ মানুষের কাছে ‘অদম্য ও সাহসী সোহানা’ নামে পরিচিতিও পান তিনি। কোন বাধা তাকে দমাতে পারেনি। অনেকেই ভেবেছিলেন প্রতিরোধের মুখে পিছিয়ে যাবেন সোহানা। কিন্তু তিনি আরও তেজোদ্দীপ্ত হন তার কাজের মাধ্যমে। ব্যতিক্রমী কর্মসূচি শুরুর সময় তার অনেক সহযোদ্ধা পেছন থেকে সটকে পড়লেও, জিনাত সোহানা  ছিলেন সিদ্ধান্তে অটল। দৃঢ়প্রত্যয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন অভিষ্ঠ লক্ষ্যে। যার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেছেন সোহানা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকার পক্ষে ছিলো তার নানা রকম উদ্যোগ। চট্টগ্রাম বিভাগজুড়ে নৌকার প্রার্থীদের সমর্থনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভিজুয়্যালি বিএনপি-জামায়াতের ১০০ দিনের হরতালের বর্বরতার চিত্র এবং বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের চিত্র এবং দিন বদলের উন্নয়নের চিত্র, প্রতিটি মানুষের কাছে তুলে ধরেন। নৌকার পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে তার এসব উদ্যোগ। ফলে আওয়ামী লীগের গ্রামগঞ্জ, শহর ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী।

জানতে চাইলে জিনাত সোহানা চোধুরী বলেন, দিনবদলের নেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে চাই শিক্ষিত যোগ্য দক্ষ প্রার্থী, আমি শেখ হাসিনার দিনবদলের কাফেলার একজন নিবেদিত সৈনিক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছি। একজন নারী হয়ে জঙ্গিবাদ দমনে,মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত পড়ানো, জয় বাংলা শ্লোগানের ফেরি করা,মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে না জড়ানোর শপথসহ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ করে মুল ধারায় সম্পৃক্ত করার কাজ করে আসছি। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে করোনা আইসোলেশন এর মাধ্যমে ৮০০ রোগীকে সুুস্থ করেছি বিনামূল্যে খাদ্য, চিকিৎসা মেডিসিন সেবা দিয়েছি,রাতদিন সেবা করেছি করোনা রোগীদের।  

এছাড়া গুজব অপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাতের নির্দেশে।  দিনবদলের নেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিত্র ও বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এর উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরছি সাধারণ জনগনের মাঝে। এছাড়া এলাকায় সাড়ে তিনশত পাকা, সেমি পাকা গৃহ নির্মান, চিকিৎসা সেবা,শিক্ষা,বিবাহ বিভিন্ন খাতে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। 

প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলার খবর রাখেন উনার প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস রেখে বলতে চাই আমাকে এই দায়িত্ব দিলে আমি আমার মেধা শ্রম দিয়ে দেশের জন্য কাজ করবো সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী বলেন, আমি শেখ হাসিনার দিন বদলের কাফেলার একজন নিবেদিত সৈনিক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছি। একজন নারী হয়ে জঙ্গিবাদ দমনে, মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়ানো, জয় বাংলা স্লোগান ফেরি করা, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে না জড়ানোর শপথসহ দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ করে মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার কাজ করে আসছি।

তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে করোনা আইসোলেশন এর মাধ্যমে ৮০০ রোগীকে সুুস্থ করেছি, বিনামূল্যে খাদ্য, চিকিৎসা মেডিসিন সেবা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলার খবর রাখেন। আমাকে এই দায়িত্ব দিলে মেধা ও শ্রম দিয়ে দেশের জন্য কাজ করবো।