ন্যাভিগেশন মেনু

সরকার গঠন করতে মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার এখন কাবুলে


তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সংগঠনটির উপ-প্রধান মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলোচনার জন্য কাবুলে পৌঁছেছে।

শনিবার (২১ আগস্ট) বিবিসি জানায়, আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যেতে লোকজন যখন মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে তখন নতুন সরকার গঠন করতে তিনি কাবুলে আসলেন।

তালেবানের এই উপ-প্রধান গত মঙ্গলবার দোহা থেকে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে পৌঁছান। আজ শনিবার তিনি রাজধানী কাবুলে গেছেন বলে জানায় বিবিসি।

তালেবানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, আব্দুল গনি বারাদার এখন 'সকলের অংশগ্রহণে একটি সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে জিহাদি নেতা ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।'

বারাদার দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আন্তর্জাতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য এতদিন তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবানের যেসব শীর্ষস্থানীয় নেতা এখন দেশটির ভেতরে অবস্থান করছেন মোল্লাহ বারাদার তাদের একজন। ধারণা করা হচ্ছে নতুন আফগান সরকারে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

যে চারজন ১৯৯৪ সালে তালেবান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বারাদার তাদের মধ্যে একজন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানে ২০০১ সালে তালেবান সরকার উৎখাত হওয়ার পর তিনি এই গ্রুপটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে ওঠেন।

বিবিসির সাংবাদিক লিজ ডুসেট বলেন, আফগানিস্তানে এখন সরকার গঠনের কঠিন কাজটি শুরু হয়েছে। এর আগে কঠোর নিয়মকানুন অনুসারে দেশ পরিচালনার জন্য এই গ্রুপটির ব্যাপক নিন্দা করা হয়েছিল। সেসময় মাত্র তিনটি দেশ তাদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু তালেবান এখন জানে যে তাদেরকে এবার আগের চেয়ে ভিন্ন রকমের হতে হবে।

লিজ ডুসেট বলেন, কান্দাহারে আলাপ আলোচনা শেষ করে মোল্লাহ বারাদারের কাবুলে আসার পর সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় এখন গতি আসবে।

অন্যদিকে, রাজনৈতিক নেতা হামিদ কারজাই এবং আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ এখনও কাবুলে অবস্থান করছেন। আলোচনা করছেন তালেবানের নেতাদের সঙ্গে।

তালেবানের আরও একজন নেতা যাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছিল, সেই খলিল হাক্কানিও এখন কাবুলে।

এডিবি/