ন্যাভিগেশন মেনু

সাগরে মিলছে বড় বড় ইলিশ


চলতি ইলিশের মৌসুমে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বড় বড় ইলিশ। সাগরে ঝড়-বাদল যদি না থাকে তাহলে এ বছর ইলিশ ধরার রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে, বলছে সাগরে মাছ ধরারতে যাওয়া জেলেরা ।

বরগুনা জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, দেশের উৎপাদিত মোট ইলিশের ১৩% বরগুনা জেলায় আহরণ করা হয়। গত অর্থবছরে এ জেলায় প্রায় ১ লাখ ২০ টন ইলিশের আহরণ ছিলো।

জেলেরা জানান, প্রতিটি ট্রলারে ৮০০ গ্রাম থেকে পৌনে দুই কেজি ওজনের প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও স্থানীয় বাজারে বড় সাইজের ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে। সাগরে ঝড়-বাদল যদি না থাকে তাহলে এ বছর ইলিশের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

সরকারি নিষেধাজ্ঞায় প্রতিবছর ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ শিকার বন্ধ থাকে। আবার ৩০ জুন পর্যন্ত আট মাসের বেশি সময় ধরে জাটকা ধরা, বিক্রি, পরিবহণ নিষিদ্ধ থাকে। এরমধ্যে গতবছর থেকে সাগরে ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২৪ জুলাই থেকে ১১ অক্টোবর তিন মাস এবং ৩ নভেম্বর থেকে ১৯ মে পর্যন্ত জেলেরা ইলিশ ধরতে পারবে।

সরকারি বিধি নিষেধের সাথে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে লকডাউনে কর্মবিরতি এবং ফলশ্রুতিতে দূষণমুক্ত হয়েছে নদীর পানি। প্রতিকূল অবস্থায় বরাবরের মতো নদীতে জেলেদের জালও পড়েনি খুব একটা। সেই সাথে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে নদীগুলো থেকেছে কানায় কানায় পূর্ণ। জেলেরা আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে থাকবে; ব্যাপক ইলিশ আহরণে বলে ইলিশের জেলা বরগুনার জেলে, ব্যবসায়ী, সাধারন ক্রেতা, মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা আশা করছেন।

বরগুনা জেলা মৎস্য বিভাগেরি এক সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জানান, মৌসুমি বায়ু সময়মতো সক্রিয় হওয়ায় এবার সার্বিক আবহাওয়া ইলিশের অনুকূলে।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক ও মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান,এবছর নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়েছে। ইলিশ চলাচলের পথও সুগম ও সাবলীল। নদীগুলোতে ইলিশ আগমনের পরিমাণও অনেক বেড়েছে। তাই এ ইলিশ মৌসুমে প্রচুর ইলিশ প্রাপ্তিসহ ভালো বাণিজ্যেরও আশা করছি।

সিবি/ওআ