ন্যাভিগেশন মেনু

সুজানগরের খাল-বিলে চলছে মাছ ধরার উৎসব


পাবনার সুজানগরের খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুর-ডোবায় চলছে মাছ ধরার উৎসব। প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও চলমান শুকনো মৌসুমে পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় উপজেলার গ্রামাঞ্চলগুলোতে মাছ ধরার ধুম পড়েছে।

এ মৌসুমে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই কাদাজলে হাঁড়ি ভাসিয়ে মেতে উঠেছে মাছ ধরার উৎসবে। এদের মধ্যে আবার কেউ হাত দিয়ে আবার কেউ পোলো, জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে মাছ ধরছেন। তাতে উঠছে পুঁটি, শোল, টাকি, কৈ, মাগুর, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশিয় মাছ। তবে বিগত বছরের ন্যায় তুলনায় এখন মাছ কমে যাওয়ায় হতাশ মাছ শিকারীরা।

স্থানীয় মথুরাপুর গ্রামের মাছ শিকারী আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এই সময়ে অল্প কাদাপানির মধ্যে মাছ ধরতে কতোইনা আনন্দ পেতাম। কিন্তু বর্তমানে প্রায় সকল খাল, বিল ও পুকুর মাছ ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাওয়ায় এবং বিষ প্রয়োগ করার ফলে সেই ধরণের মাছ ধরার আনন্দ এখন তেমন নেই বললেই চলে।’

সুজানগর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুস শুকুর বলেন, ‘প্রতি বছরের এই সময়ে উপজেলার পুকুর, খাল, বিলের পানি কমে যাওয়ায় সৌখিন ও পেশাদার মাছ শিকারীরা নেমে পড়েন বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে মাছ শিকার করতে। যা অনেকটাই উৎসবে পরিণত হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ বলেন, মা মাছ নিধনসহ বিভিন্ন কারনে বর্তমানে মাছের প্রজনন কমে গেছে। দেশিয় প্রজাতির এসব মাছ রক্ষায় এখন খাল-বিলে অভয়াশ্রম তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছে।

উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকতা সাইফুল ইসলাম আজদের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, সুজানগর উপজেলায় সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানা প্রায় তিন হাজার পুকুর এবং ১৬টি বিল রয়েছে। মাছের প্রজনন বৃদ্ধিসহ দেশিয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় বেশি করে অভয়াশ্রম তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশিয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

 এম এ এ আর/এমআইআর/এডিবি/