ন্যাভিগেশন মেনু

সোমালিয়ার উপকূলের নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরা, জাহাজে খাবার মজুদ আছে দুই মাসের


নৌ পরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম জানিয়েছেন, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার সময় ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জাহাজে থাকা ২৩ জন নাবিক এখনো নিরাপদে আছেন।

গত মঙ্গলবার সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’।
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে এখন সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরা। বর্তমানে জাহাজটি দ্রুত গতিতে সোমালিয়ার দিকে যাচ্ছে। জাহাজটি কয়েকদিনের মধ্য সোমালিয়ান উপকূলে পৌঁছাবে। বুধবার সকালে এক নাবিকের যোগাযোগ হয়েছে আমাদের। এরপর আর কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত সকল নাবিকরা নিরাপদে আছেন। আমরা নাবিকদের উদ্ধার করে দেশে আনার চেষ্টা চালাচ্ছি।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও জাহাজের ২৩ ক্রু উদ্ধারে সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে চেষ্টা চলছে। তবে জাহাজটি হাইজ্যাক করা জলদস্যুদের সাথে এখনো যোগাযোগ করা যায়নি। আমরা সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে চেষ্টা করছি। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েচেন, এম ভি আব্দুল্লাহ জাহাজে নাবিকদের জন্য দুই মাসের খাদ্য মজুদ আছে। জাহাজের পরবর্তী গন্তব্য থেকে খাবার পানি নেওয়ার কথা ছিল ক্যাপ্টেনের।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন এনাম চৌধুরী, জিম্মি নাবিকরা জানিয়েছেন জাহাজে প্রায় ৫০ জন জলদস্যু অস্ত্র নিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল এবং তারা জাহাজে অবস্থান করছে। জিম্মি অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে জাহাজে খাদ্য সংকট হতে পারে। এখন এম ভি আব্দুল্লাহ জাহাজে প্রায় ২০০ টন খাবার পানি মজুদ আছে। জলদস্যুরা জাহাজের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বন্ধ করে দিয়েছে। যাতে জাহাজটিকে ট্র্যাকিং করা না যায়। তারপরও আমরা মাঝে মধ্যে ট্র্যাক করতে পারছি। বর্তমানে জাহাজটি পাঁচ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলছে এবং সোমালিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

গত ২০১০ সালের ডিসেম্বরে কেএসআরএমের জাহাজ জাহান মণি আরব সাগরেই সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। তখন জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয় তখন। নানা চেষ্টার পর ১০০ দিনের পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয়েছিল।