ন্যাভিগেশন মেনু

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মেয়েদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে: মোতাহেরুল

খলিলুর রহমান শিক্ষা কমপ্লেক্সের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পটিয়ার এমপি


নবনির্বাচিত পটিয়ার সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া নানা বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে মেয়েদের শিক্ষায় বিপ্লবের সূচনা  করেছেন। সেই মশাল এখন বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফ জাইয়ের মতো অসম সাহসী মহিলারা। তালেবানদের গুলিতে আহত হয়েও শিক্ষা গ্রহণ থেকে এক চুলও পিছপা হয়নি সে। যুগে যুগে জ্ঞানের আলোয় মানুষকে পথ চলতে উৎসাহ জুগিয়েছেন তারা।

তার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের তাই যুগোপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অধীত বিদ্যা দেশের কল্যানে কাজে লাগাতে হবে।

বিশিষ্ট শিল্পপতি কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান সাহেব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত খলিলুর রহমান শিক্ষা কমপ্লেক্সের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান খলিলুর রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজ, খলিলুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খলিলুর রহমান শিশু নিকেতন ও খলিলুর রহমান শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে পটিয়া হতে নব-নির্বাচিত পটিয়ার সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত প্রধান অতিথি হিসেবে এই মন্তব্য করেন।

দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব খলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষা দিয়েই সমাজের অন্ধকার দূর করে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তাই মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। 

পটিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংবর্ধিত অতিথি আলহাজ্ব মোতাহের ইসলাম চৌধুরী এমপির সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, শিক্ষা বিস্তার ও উন্নয়নে স্মার্ট শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এবং নারীদের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।

‘আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি দিব’ -নেপোলিয়ান বোনাপোর্টের এই চিরস্মরণীয় উক্তিটি আমাদের সবার জানা। একজন শিক্ষিত নারী একটি পরিবারকে শিক্ষিত করতে পারে। এজন্য আরবিতে একটি প্রবাদ আছে, ‘একজন পুরুষ মানুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে একজন ব্যক্তিকে শিক্ষিত করে তোলা, আর একজন মেয়েকে শিক্ষা দেওয়া মানে একটি গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা।’ পৃথিবীর অর্ধেক জনসমষ্টি নারী। তাই মানব জাতির সামগ্রিক কল্যাণের কথা মাথায় রেখে বলা যায়, নারী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নারী শিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনাতীত। কেননা নারী মানব জাতির অর্ধেক অংশ। 

জনসমষ্টির অর্ধেককে শিক্ষার বাইরে রেখে সমাজের পক্ষে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই অর্ধেক জনগণকে সুশিক্ষিত করতে না পারলে জাতীয় উন্নয়ন, অগ্রগতি ও কল্যাণ আসতে পারে না। যুগের পরিক্রমায় নারী শিক্ষার গুরুত্ব বর্তমানে অনস্বীকার্য হয়ে উঠেছে। নারীর অবস্থান সমাজে চিরকাল ধরেই অবহেলিত এবং পশ্চাদপদ। নারীর এই অবস্থান থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা অর্জন করে নারী তার নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে, স্বাস্থ্য সচেতন হবে। তাই নারীর উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক উপাদান হলো নারী শিক্ষা।নারীকে স্বাবলম্বী হতে হলে কর্মসংস্থানের প্রয়োজন। কেননা কর্মসংস্থানই নারীর আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে। নারীর জন্য যুগোপযোগী কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম বলে আমি মনে করি।

কলেজের অধ্যক্ষ মুহম্মদ আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে অধ্যাপক অভিজিত বড়ুয়া মানু ও শিক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায়

এতে অনলাইনে বক্তব্য রাখেন খলিলুর রহমান শিক্ষা কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিল্পপতি কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান, কলেজের  উপাধ্যক্ষ হাসিনা খানম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম সিদ্দিক,শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষ ছোটন নাথ প্রমুখ। সংবর্ধিত অতিথির উদ্দেশ্য মানপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক সেলিনা আকতার।
মাননীয় সংসদ সদস্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে একটা গাছের চারা রোপন করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা কমপ্লেক্সের রোভার স্কাউটের সদস্য ও  শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।