ন্যাভিগেশন মেনু

হাইতিতে ভূমিকম্প: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজারে পৌঁছেছে


ক্যারিবিয় অঞ্চলের দেশ হাইতিতে গত শনিবারের (১৪ আগস্ট) শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৯৪১ জনে পৌঁছেছে।

বুধবার (১৮ আগস্ট) বিবিসি জানায় ৭.২ মাত্রার এই ভূমিকম্পে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় গ্রেস এর ফলে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

জাতিসংঘ বলছে, এখন প্রায় ৫০ লাখ শিশুর আশ্রয়, নিরাপদ পানি ও খাবারের অভাবে রয়েছে।

দেশটিতে জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) প্রতিনিধি ব্রুনো মেইস বলেন, 'ভূমিকম্পের কারণে অসংখ্য হাইতিয়ান পরিবার যারা এখন বন্যার কারণে পানিতে আক্ষরিক অর্থে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।'

হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হোটেল রয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি এই ভূমিকম্পকে ‘ব্যাপক ক্ষতি’ বলে আখ্যায়িত করে এক মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন।

ক্যারিবিয়ান এই দেশটি ইতোমধ্যেই কোভিড-১৯ মোকাবেলা করতে সংগ্রাম করছে। তাছাড়া, গত মাসে রাষ্ট্রপতি জোভেনেল মোইসের হত্যার পর ব্যাপক সহিংসতা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরও খারাপ হয়েছে। এখন এই ভূমিকম্পে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিস্থিতি খুবই করুণ। বিশেষ করে লে কায়ে শহরটি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে।

এদিকে উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে স্থানীয়রা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বহু ভিডিওতেই দেখা গেছে স্থানীয় উদ্ধার কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করছেন।

এদিকে ত্রাণ, চিকিৎসাসহায়তার খোঁজে মরিয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ। ভূমিকম্পের জেরে মাটিতে মিশে গেছে অনেক বহুতল ভবন। অনেকেই সেই ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েন। 

শনিবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছিল দক্ষিণ-পশ্চিম হাইতিতে। তারপর একের পর এক ‘আফটারশক’ কেঁপে উঠতে থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা।

ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, শনিবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সেন্ট লুই ডু সুড শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে এবং পোর্ট-অ-প্রিন্সের ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার দূরে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে।

রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ২০১০ সালে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, তার তুলনায় এবার কম্পনের মাত্রা বেশি। কিন্তু ১১ বছরের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের তুলনায় এবার ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কিছুটা কম হতে পারে।

এডিবি/