ন্যাভিগেশন মেনু

১৫ আগস্টের ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে সোনার বাংলা বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়নি: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাটি জীবন মানুষের মুক্তির সংগ্রামে উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধু অকৃত্রিমভাবে বাংলার মানুষকে ভালবেসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখন্ড পেয়েছে।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করার সুযোগ দেয়নি। তবে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে ৩৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছেন।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও জীবনী ভিত্তিক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম  একথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্য স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বলেই দেশের সকল অর্জন সম্ভব হয়েছে। 

পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে পাকিস্তানের মানুষ আফসোস করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এমন উচ্চতায় নিয়েছেন যে, পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে, বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফের দেওয়া অর্থনৈতিক সূচকও সে কথাই বলে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মহিমায় বিশ্বের যে কোন মহান নেতার কাতারে নিজ মহিমায় উজ্জ্বল। আমরা গর্বিত এরকম একজন মহান নেতাকে আমরা পেয়েছিলাম, যিনি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, স্বাধীনতা লাভের মাত্র এক বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। 

তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যতটুকু উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়েছিলেন তা আজও অনুসরনীয়। তবে ২১ আগষ্টের মতো নির্মম ও বর্বর হত্যাকান্ডের পরও বিএনপি সেই ঘৃণ্য অপরাধকে অস্বীকার করে।

আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, এমপি।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. রাশেদুল হাসান, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সরোয়ার হোসেন।