ন্যাভিগেশন মেনু

২০ বছর পর আবার শুরু হলো নগরবাড়ী আরিচা ফেরি চলাচল


দীর্ঘ ২০ বছর পর পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলবাসীর বহুল প্রত্যাশিত পাবনার কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হলো।

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে পরীক্ষামূলক ভাবে একটি ফেরী কাজিরহাট থেকে ছেড়ে গেছে আরিচা ঘাটে। অপরদিকে আরিচাঘাট থেকে ছেড়ে একটি ফেরি কাজিরহাট ঘাটে পৌঁছেছে।

কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল পরিদর্শন করেন বিআইডাব্লিউটিএ- চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক। এ সময় বিআইডাব্লিউটিসি এবং বিআইডাব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কমোডোর গোলাম সাদেক বলেন, দুইপাড়েই ফেরি ঘাটের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। এছাড়া নৌপথকেও সচল করা হয়েছে। এখন পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চালনা করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচল শুরু হবে। এতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ সহজতর হবে।

তবে যমুনা নদীতে ২০ থেকে ২৫ টি চর ও নাব্যতা সংকট মোকাবিলা করে কাজিরহাট-আরিচা ফেরি সার্ভিস চালুর বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে বলে নৌ-মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের কাছে থেকে জানা যায়।।

পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবানগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার লাখ লাখ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজিরহাট থেকে স্পিডবোট ও ইঞ্জিন চালিত শ্যালো নৌকায় আরিচা হয়ে ঢাকা যাতায়াত করছেন। পাবনা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে সড়ক পথে ঢাকা পৌঁছাতে যেখানে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগছে, সেখানে নদীপথে মাত্র ৩/৪ ঘন্টায় গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠার কারনে এই অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

নদী পথে যাত্রীদের পারাপারে জীবনের ঝুঁকি থাকলেও সড়ক ও সেতুপথে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয় বলে সাধারণ যাত্রীরা ঝুকি নিয়েই যাতায়াত করে। যে কারণেই নিম্ন আয়ের মানুষেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ট্রলারে নদী পার হচ্ছেন।

এন এস/সিবি/ওআ