ন্যাভিগেশন মেনু

৪১৪ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছে দাবি মায়ানমারের


এবার মায়ানমার দাবি করলো বাংলাদেশ থেকে ৪১৪ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে গেছে।  রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া নিয়ে মায়ানমার বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছে।

শুক্রবার ঢাকার মায়ানমার দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। মায়ানমার দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে দাবি  করা হয়,   রাখাইনে ১৭ জন রোহিঙ্গা ফিরে গেছেন। রাখাইনের টং পিয়ো লেটো রিসিপশন সেন্টারে তাদের স্বাগত জানিয়েছে মায়ানমার।

এছাড়া ৩১ অক্টোবর ৪৬ জন রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরে গেছে বলে দেশটির দাবি। এ নিয়ে মোট ৪১৪ জন রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরে গেছে বলে দাবি করে মায়ানমার। এদিকে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া দাবির বিষয়ে বাংলাদেশ বা জাতিসংঘ এখনও অবহিত নয়।

কীভাবে এসব রোহিঙ্গারা সেখানে যাচ্ছেন, বাংলাদেশের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। সে কারণে মায়ানমারের দাবি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ড. একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য মায়ানমার যে দাবি করেছে, সেটা যাচাই-বাছাই করে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

এরআগে প্রত্যাবাসনের জন্য ৫০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর একটি তালিকা মায়ানমারের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ। ২০১৭ সালেই মায়ানমারের রাখাইন থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে ঢাকা ও নাইপিদাওয়ের মধ্যে একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সেইমতো কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে থাক রোহিঙ্গাদের একাধিক তালিকা সু কি প্রশাসনের হাতে তুলেও দেয় সরকার। যদিও নানা আইনী জটিলতা দেখিয়ে শরণার্থীদের ফেরাতে রাজি হয়নি মায়ানমার। তবুও চুক্তি মেনে চতুর্থ ধাপে ৫০ হাজার শরণার্থীর একটি তালিকা হস্তান্তর করে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মায়ানমার, চিন ও বাংলাদেশ- এই তিন দেশ মিলে একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর একটি চুক্তি সই করে।

পরে দুই দেশ ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তি করে, যা অনুযায়ী প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল।

উল্লেখ্য, মানবিকতার খাতিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। গোটা বিশ্ব মুখ ফিরিয়ে নিলেও, রোহিঙ্গাদের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা সরকার।

এস এস

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ https://www.ajkerbangladeshpost.com