ন্যাভিগেশন মেনু

‘বাঙালির উত্থানের ইতিহাস যেন ভুলে না যাই’: পার্থ ব্যানার্জি


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের বছরে দুই বাংলা যেমন এই মহান নেতাকে স্মরণ করবে, ঠিক তেমনি তার সাথে দুই বাংলার এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ও তাদের নেতা ও নেত্রীদের, এবং অসংখ্য নামহীন খ্যাতিহীন শহীদেরকেও স্মরণ করবে বলে উল্লেখ করেন মানবাধিকার কর্মী, লেখক, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম সমালোচক এবং সংগীতশিল্পী ড. পার্থ ব্যানার্জি।

ড. পার্থ ব্যানার্জি বলেন, ‘আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের এই শুভক্ষণে আমরা যেন দুই বাংলার ও বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস ভুলে না যাই।‘

গত ১৫ ফেব্রুয়ারী মুজিববর্ষ কাউন্টডাউন উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক ও শেখ মুজিব’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 ‘নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যদি ইতিহাস জানতে না পারে, তাহলে তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবেনা, এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তো এখনই প্রায় একশো বছরের পুরোনো। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের গান্ধী হত্যার পরেও প্রায় পঁচাত্তর বছর কেটে গেছে। ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার এই যে খেলা শুরু হয়েছে , সেখানে ‘নাথুরাম গডসে দেশদ্রোহী নয়, দেশভক্ত’-এমন মন্তব্য করলেন ড: পার্থ ব্যানার্জি।

ড. পার্থ বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়া এবং বিকৃতকরণের খেলা চলেছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে একশ্রেণীর তথাকথিত বুদ্ধিজীবি প্রকাশ্যে ও গোপনে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সঙ্গে ওঠাবসা করেন এবং তারা সদা সক্রিয়।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বাংলা ভাষা রক্ষার ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল আন্দোলন ও আত্মত্যাগের ইতিহাস সেই সময়েও যেমন আমাদের জানতে দেওয়া হয়নি, তেমনই এখনও পশ্চিমবঙ্গের এক বিরাটসংখ্যক মানুষের কাছে তা অজানা।

এ সময় সেমিনারে  সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য  নির্মল কমিটির সভাপতি নূরউদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালনা করেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক  জামাল খান।

প্রসঙ্গত, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গের সন্তান পার্থ ব্যানার্জি তার সহপাঠিদের সাথে শরনার্থী শিবিরে নানা কর্মকান্ডে নিয়োজিত ছিলেন। আর সেই থেকেই বাংলাদেশের বাঙালিদের এগিয়ে চলার সাথে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রেখেছেন।

ওয়াই এ/এডিবি