ন্যাভিগেশন মেনু

পাবনায় আদমশুমারীতে দলিত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্তি দাবিতে মানববন্ধন


পাবনায় আদমশুমারীতে দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা তথ্য সংগ্রহ ও অন্তর্ভূক্তিসহ ৫ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে আব্দুল হামিদ সড়কে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) পাবনা জেলা কমিটির উদ্যোগে এই মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে রবিদাস, ঋষি, কাওড়া, বেদে, নিকেরী, ডোম, বাঁশফোঁড়, হেলা ও রাউত সম্প্রদায়ের দলিত জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অংশ নেন।

দলিত জনগোষ্ঠীর ৫ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে, আদমশুমারী-২০২১ এ দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা তথ্য সংগ্রহ ও অন্তর্ভুক্তকরন, এসডিজির আলোকে একটি জাতীয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ, সম্প্রদায় ভিত্তিক তথ্য সরকারিভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, দলিতদের উন্নয়ন ও মানবাধিকার সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য সরকারিভাবে গবেষণার উদ্যোগ, অনতিবিলম্বে প্রস্তাবিত বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন।

এ সময় বক্তব্য দেন বিডিইআরএম জেলা কমিটির সভাপতি আনন্দ রবিদাস, সহ-সভাপতি তপন বাঁশফোঁড়, হেমন্ত রবিদাস, সাধারণ সম্পাদক দ্বীপ রবিদাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ বাঁশফোঁড়, আশিক বানিহাস, কোষাধ্যক্ষ জয়ন্ত হাঁড়ী, সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডাবলু রবিদাস, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক উদয় হাঁড়ী, আইন বিষয়ক সম্পাদক রতন বাঁশফোঁড়, নারী বিষয়ক সম্পাদক শ্যামলী রানী দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শয়ন রবিদাস।

বক্তরা বলেন, দলিত জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯৬ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর ও স্বল্প শিক্ষিত হওয়ায় তারা পরিচ্ছন্নতা কর্ম, জুতা ও চামড়া মেরামত বা শুকুর পালনসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত। দেশে দলিত জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন পেশা ও জন্মগত পরিচয়ে ভিন্ন ভিন্ন শতাধিক সম্প্রদায় বসবাস করে। এই জনগোষ্ঠীগুলো দলিত হিসেবে জাতীয়ভাবে পেশাগত পরিচয়ের কারণে বৈষম্য, অস্পৃশ্যতা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।

কেএস/সিবি/এডিবি