ন্যাভিগেশন মেনু

ইউরাে কাপে ৫৩ বছর পর চ্যাম্পিয়ন ইতালি


ইউরোপিয় চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৫৩ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফেভারিট ইতালি। পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ গোলে জিতে ইউরোর ট্রফি ঘরে তোলে ইতালি।

দলে একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে স্পেনকে হারানো দলের ওপরই ভরসা রাখেন ইতালি কোচ রবার্তো মানচিনি।

ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটের মাথায় ইতালির জালে বল জড়ান লিউক শ। ইংল্যান্ড ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। ট্রিপিয়ারের পাস থেকে গোল করেন লিউক।

এটিই লিউকের নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল ইউরোর ফাইনালে। লিউক শ এই গোল করে ইউরো কাপের ইতিহাসে দ্রুততম গোলে রেকর্ড গড়লেন। ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে করা তার গোলটিই ইউরোর ফাইনাল ম্যাচে করা দ্রুততম গোল। ১৯৬৪ সালে পেরেদা ৬ মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন।

খেলার ১৭ মিনিটের মাথায় ইতালির এমার্সন এফসাইডের আওতায় পড়েন। ভেস্তে যায় ইতালির আক্রমণ। ২৮ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করেন ইনসাইন। যদিও তার আক্রমণ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপরও ইনসিনিয়ে-কিয়েসারা চেষ্টা করেছেন কিন্তু সমতায় ফেরাতে পারেননি দলকে। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ইংল্যান্ড বিরতিতে ১-০ এগিয়ে থেকে।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ৬৭ মিনিটের মাথায় বোনুচ্চির গোলে ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরায় ইতালি।

ইউরোর ফাইনালে সবথেকে বেসি বয়সে গোল করার রেকর্ড গড়েন বোনুচ্চি। তিনি ৩৪ বছর ৭১ দিন বয়সে ইউরোর ফাইনালের লড়াইয়ে গোল করেন। ১৯৭৬ সালে পশ্চিম জার্মানির হয়ে হলজেনবেইন ৩০ বছর বয়সে গোল করেছিলেন।

নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। ম্যাচ এখনও ১-১ গোলের সমতায়। ফলে ভাগ্য নির্ধারণের জন্য লড়াই গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই নিয়ে মোট সাতটি (১৯৬০, ১৯৬৮, ১৯৭৬, ১৯৯৬, ২০০০, ২০১৬ ও ২০২০) ইউরো ফাইনাল অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো।

অতিরিক্ত সময়ে এসে এবার নিজেদের কৌশলে ঘষামাজা করে নেয় ইতালিয়ানরা। বল পায়ে রেখে অতিরিক্ত আক্রমণের নীতি থেকে সরে আসে মানচিনি বাহিনী। অন্যদিকে অভিজ্ঞতার কাছে মার খেতে থাকে থ্রি লায়নরা। ফলাফল, টাইব্রেকে গড়ালো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে।

পেনাল্টি শুটআউটে ইংল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ইউরো ২০২০ চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি।

এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি দেশ ঘরের মাঠে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৯৬৪ সালে স্পেন, ১৯৬৮ সালে ইতালি ও ১৯৮৪ সালে ফ্রান্স নিজেদের দেশে ইউরোর খেতাব জেতে।

১৯৬৮ সালে প্রথমবার ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি। ৫৩ বছর পর ইউরোর খেতাব পুনরুদ্ধার করলো তারা।

ইতালির হয়ে সমতাসূচক গোল করা বোনুচ্চি স্টার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার জেতেন।

এডিবি/