ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে স্পেনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইতালি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ের পরও ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় থাকায় টাইব্রেকারে শুটআউটে গড়ায়।
ইউরো কাপে এপর্যন্ত কোনও দল এক আসরে দুইবার পেনাল্টি শুটআউটে জেতার রেকর্ড নেই। স্পেন ইতালির কাছে শুটআউটে হেরে যাওয়া সেই ট্র্যাডিশন বজায় রইলো। এর আগে স্পেন কোয়ার্টার ফাইনালে শুটআউটে হারিয়েছিল সুইজারল্যান্ডকে।
খেলার শুরু থেকেই ইতালি ও স্পেন আক্রমণে থাকে। ৩ মিনিটের মাথায় ইতালির বারেল্লা অফসাইডের আওতায় পড়েন। ভেস্তে যায় ইতালির আক্রমণ। ৫ মিনিটের মাথায় ফের একবার ইতালির আক্রমণ থমকে যায় ইমমোবিল অফসাইডে থাকায়।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে ফেরান তোরেস ইতালির জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করেন। ২৫ মিনিটের মাথায় দানি ওলমোর শট প্রতিহত করেন ইতালির গোলরক্ষক দোনারুমা।
৪৫ মিনিটে এমারসনের শট ক্রসবারে প্রতিহত হয়। ম্যাচের প্রথমার্ধে এটিই স্পেনের পোস্ট লক্ষ্য করে ইতালির একমাত্র যথাযথ শট।
প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য থাকে।
খেলার ৬০ মিনিটের মাথায় সাফল্য পায় ইতালি। গোল করেন সিয়েসা। তিনি স্পেনের শেষ ডিফেন্স ভেঙে ইতালিকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন।
৮০ মিনিটে সমতায় আসে স্পেন। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে ওলমোর পাস থেকে গোল করেন মোরাতা। এই গোলের ফলে ইউরোয় স্পেনের হয়ে সবথেকে বেশি ৬টি গোল করার রেকর্ড গড়লেন মোরাতা। তিনি পিছনে ফেলেন ৫ গোল করা ফার্নান্দো তোরেসকে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায়। ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ের খেলায়ও কোনও গোল হয়নি।
ফলে টাইব্রকারে শুটআউটের সিদ্ধান্ত। স্পেনের মোরাতার শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার আর দানি ওলমোর শট ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। অন্যদিকে ইতালির লোকাতেল্লির শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার।
ফলাফলে ইতালি ৪-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
এডিবি/