ন্যাভিগেশন মেনু

জয়ের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ বাংলাদেশের


বাংলাদেশ ইমার্জিং ও আয়ারল্যান্ড উল্ভসের মধ্যে মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে চলছে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি পরিত্যক্ত হলেও বাকি তিন ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা।

রবিবার (১৪ মার্চ) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। তবে দ্বিতীয়বারের মতো আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি টাইগার দুই ওপেনার। সাইফ হাসান আজ ফিরেছেন মাত্র ৩ রান করেই। যাতে দলীয় ১৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। করোনার হানায় পণ্ড হওয়া প্রথম ম্যাচেও আগে ব্যাট করে তেমন সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ দল।

এরপর আনিসুল ইসলাম ইমনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন জয়। ৩৯ বল স্থায়ী এই জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৪৯টি রান, যাতে ইমনের অবদানই ছিল বেশি। মাত্র ৩১ বলে ৮টি চারের মারে ৪১ রান করে ফেরেন ইমন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে বসে জুনিয়র টাইগাররা।

এসময়ের মধ্যে হতাশ করে ব্যর্থ মনোরথে একে একে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা তৌহিদ হৃদয় (২০), শাহাদাৎ হোসাইন (১৩) ও মারকুটে শামিম পাটোয়ারীও (১১)। যাতে ১৬৩ রানেই ইনিংসের অর্ধেক উইকেট নাই হয়ে যায় দলের। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে এদিন নিজের প্রথম শতকের দেখা পান জয়।

মূলত প্রতিশ্রুতিশীল এই তরুণের ব্যাটেই দিশা পায় দল। গড়তে সক্ষম হয় সম্মানজনক সংগ্রহ। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হয়ে ফেরার আগে ১২৩ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন মাহমুদুল। তাঁর ১৩৫ বলেই এই লড়াকু ইনিংসে ৯টি চারের সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কার মার। এর আগের ম্যাচেই ৮০ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। তাঁর আগে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রানের এক ইনিংস। 

এদিন ১৬৩ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর জয়কে সঙ্গ দিয়ে দলের সম্মান বাঁচানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন আউট হন ৩৩ রান করে।

এদিন সফরকারীদের হয়ে ৩টি উইকেট নিয়ে সফল বোলার ছিলেন মার্ক আডাইর। এছাড়া অধিনায়ক হ্যারি টেকটর ও রুহান প্রিটোরিয়াস ২টি করে এবং পিটার চেজ ও গ্যারেথ ডেলানি নেন একটি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ২৬০/১০, ৪৯.৪ ওভার (জয় ১২৩, আনিসুল ৪১, মাহিদুল ৩৩, অ্যাডায়ার ৩/২৭, প্রিটোরিয়াস ২/৫১)

ওআ/