ন্যাভিগেশন মেনু

দিহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধেও ছিলো স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, টাকা দিয়ে মিমাংসা


আনুশকা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার দিহানের বড় ভাই সুপ্ত সরকারের বিরুদ্ধে রয়েছে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, যা পরে টাকা দিয়ে মিমাংসা করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তা আপস করা হয়েছে। সুপ্ত মাদকসাক্ত। দিহানরা তিন ভাই। দিহানের বাবা আবদুর রউফ সরকার রাজশাহী জেলার অবসরপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার। তিনি ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি তার বড় ছেলে সুপ্তকে নিয়ে আদি নিবাস রাজশাহী জেলার দুর্গাপুরের বাড়িতে থাকেন। আর মা সানজিদা সরকার শিল্পীর সঙ্গে দিহান ও তার মেজো ভাই নিলয় ঢাকায় থাকেন। নিলয় ব্যাংকে চাকরি করেন। দিহানের মা শিল্পীও ঢাকায় বেপরোয়া চলাফেরা করেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘সুপ্তর স্ত্রী রুনা খাতুনের নানা বাড়ি রাজশাহী নগরীর হোসনীগঞ্জ মহল্লায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহীতেই সুপ্তর সঙ্গে রুনা খাতুনের পরিচয়। এরপর বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই রুনাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। ২০০৯ সালে সুপ্ত ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রুনার মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ ওঠে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর রুনা হাসপাতালে মারা যান। এ নিয়ে রুনার মা থানায় মামলা করেছিলেন।’

মামলার এক নারী সাক্ষী জানান, ‘চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় আসামিদের শাস্তির দাবিতে রুনার মরদেহ নিয়ে রাজশাহীতে মিছিল হয়েছিলো। মামলাটা চলছিলোই। পরে তারা টাকা দিয়ে মীমাংসা করে নেয়। এরপর পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।’

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ‘ছোটবেলা থেকেই দিহান ঢাকায় থাকেন। তাই তার সম্পর্কে গ্রামের মানুষের ধারণা কম।’

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারে ওই কিশোরীর বাবা মো. আল আমিন উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে আমার স্ত্রী ও আমি বাইরে গেলে আমার মেয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় তার মাকে ফোন দিয়ে বলে সে কোচিংয়ের পেপার্স আনতে বাইরে যাচ্ছে। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দিহান আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলে আমার মেয়ে তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎ  অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেছে। এ কথা শুনে আমার স্ত্রী দুপুর ১টা ৫২ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন আমাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে।

ওয়াই এ/এডিবি