ন্যাভিগেশন মেনু

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দুর্যোগ সহনীয় ঘর পেয়ে ওদের মুখে হাসি


বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেওয়া ঘর পেয়ে এখন ভালো আছেন নাছিমা খাতুন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রাণভরে দোয়া করেন মাথা গোঁজার ঠাই পেয়ে।

বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলার দারিয়াল গ্রামের বাসিন্দা নাছিমা খাতুন। স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে। অন্যের বাড়ীতে কাজ করে, সরকারের দেওয়া সেলাই মেশিন চালিয়ে টাকা জমিয়ে দুই শতক জায়গা কিনেছেন নাছিমা। তার সেই জায়গার উপর নির্মিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাসগৃহ। তিনি এখন নতুন ঘরে বসবাস করছেন।

এবার নাছিমাসহ ১৯ জন নিম্নআয়ের মানুষ সদর উপজেলায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ পেয়েছেন। এর আগে বিগত অর্থ বছরে এই উপজেলায় ১৬টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।

বগুড়া সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় আধুনিক বাসগৃহ নির্মাণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া সদর উপজেলায় ১৯টি পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিটি বাসগৃহের প্রাক্কলিত মূল্য ২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, গৃহকর্মী, রিক্সা-ভ্যানচালক, কৃষক ও বাউলসহ বিভিন্ন অস্বচ্ছল মানুষ পেয়েছেন দুর্যোগ সহনীয় এ বাসগৃহ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সার্বিক তত্বাবধানে বিভিন্ন প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে এই বাসগৃহ নির্মাণ শেষে সুবিধাভোগীরা ঘরে উঠেছেন। প্রতিটি ঘরে দু’টি রুম, দু’টি বারান্দা, একটি রান্নাঘর, একটি করিডরসহ রয়েছে টয়লেটের ব্যবস্থা। এছাড়াও রয়েছে টিউবয়েল ও সৌর বিদ্যুতের সুবিধা।

উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের হতদরিদ্র ২ নারী ও ২ পুরুষ এবার বাসগৃহ পেয়েছেন। 

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল মামুন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্বাবধানে সঠিক নিয়মে বাসগৃহ নির্মাণ হয়েছে। অস্বচ্ছল মানুষরা বাসগৃহ পেয়েছেন।

বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলার ইন্দ্র চন্দ্র দাস, শশীবদনীর মিলা খাতুন জানান, ‘শেখ হাসিনা হামাক বাড়ী ব্যানা দিছে, আগে মাথা গোঁজার জায়গা আছিল না, একন নিজের বাড়িত থাকি। শেখ হাসিনা মেলা দিন ব্যাঁচা থাকুক।’

নুনগোলা ইউপি চেয়ারম্যান আলীম উদ্দিন জানান, অসহায় মানুষরা ঘর পেয়ে আনন্দিত। সবাই এখন সরকারি বাসগৃহে অবস্থান করছেন। ইউএনওসহ কর্মকর্তারা ঘর নির্মাণ কাজে দেখভাল করেছেন। সঠিকভাবেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে এসব বাসগৃহ নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় সুবিধাভোগীরা ঘরে উঠেছেন। জুলাই মাসে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, জেলা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যানরা নির্মিত বাসগৃহ পরিদর্শন করে সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলেন। তারা পরিদর্শন করে নির্মাণ কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সদর উপজেলায় ১৯টি বাসগৃহ নির্মান কাজ সার্বক্ষনিক তদারকির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপকারভোগীরা এসব বাসগৃহে বসবাস করছেন।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বাসগৃহ পেয়ে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। সদর উপজেলায় নির্মিত বাসগৃহ তিনি পরিদর্শন করেছেন বলে জানান।

এডিবি/