ন্যাভিগেশন মেনু

বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শেরপুরের তীর্থ উৎসব


‘দীক্ষিত ও প্রেরিত, মঙ্গলবাণী সাক্ষ্যদানে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’ এ শ্লোগানে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারমারী সাধু লিওর খিস্টধর্মপল্লীতে বার্ষিক ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

সকালে তীর্থস্থানের মা মারিয়ার মূর্তির পাদদেশে স্থাপিত প্রার্থনা মঞ্চে পাপ স্বীকার, আলোক শোভাযাত্রা এবং পবিত্র খ্রিষ্টযাগের (বিশেষ প্রার্থনা) মধ্য দিয়ে শুরু হয় তীর্থোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

পরে দুপুরে জীবন্ত ক্রুশের পথ পরিভ্রমণ ও দুপুরে মহাখ্রিষ্টযাগের (সমাপনী প্রার্থনা) মাধ্যমে এ তীর্থোৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

সমাপনী খ্রিষ্টযাগে পৌরহিত্য করেন ময়মনসিংহ খ্রিষ্টধর্ম প্রদেশের বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি।

বারোমারী ধর্মপল্লীর ভাইস চেয়ারম্যান নালিতাবাড়ী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান লুইস নেংমিনজা বলেন, তীর্থেৎসবে খ্রিষ্টভক্তরা নিজেদের পাপমোচনে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর মিছিলে অংশগ্রহণ করে। নির্মল হৃদয়ের অধিকারীনি, ঈশ্বর জননী, খ্রিষ্টভক্তের রাণী, স্নেহময়ী মাতা ফাতেমা রাণীর প্রতি ভক্তি-শ্রদ্বা জানায় ও তার অকৃপন সাহায্য প্রার্থনা করে থাকে। এ বছর করোনা থেকে মুক্তির জন্যও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।

শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত আকারে এবারের তীর্থ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তীর্থ অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে করতে পুলিশের পক্ষ থেকে এবার তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

করোনার কারণে সীমিত আকারে মাত্র ছয়ঘন্টায় শেষ হয় রোমান ক্যাথলিকদের এ উৎসব। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ তীর্থে প্রতি বছর ৫০হাজারের বেশি তীর্থ যাত্রীর আগমণ ঘটলে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঁচশত মানুষের সমাগম হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লী। ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশের প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ গমেজ ১৯৯৮ সালে এ ধর্মপল্লীকে ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থান হিসেবে ঘোষণা করেন। এখানে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে ও অনুকরণে পাহাড় ঘেরা মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয় ‘ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান’। সেই থেকে খ্রিষ্টমন্ডলীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন মূলসুরের উপর ভিত্তি করে এখানে অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’দিনব্যাপী বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।

এস এ/ওআ