ন্যাভিগেশন মেনু

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের বড় হার


পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুটিতে দাপট দেখিয়ে জিতেছে বাংলাদেশ। আজ সুযোগ ছিল সিরিজ নিশ্চিতের কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সিরিজের তৃতীয়টিতে সর্বনিম্ন রান কোনোমতে এড়াতে পারলেও শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানেই হেরেছে বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৭৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের টি-২০ ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। ৫২ রানের জয়ে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে কিউইরা।

টি-২০তে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান ৭০। ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে কলকাতায় এই লজ্জার মুখে পড়েছিল টাইগাররা। এরপরই আছে আজকের ইনিংস। অবশ্য চলতি বছরের শুরুতে অকল্যান্ডে মাত্র ৭৬ রানে আরেকবার গুটিয়ে গিয়েছিল লাল-সবুজরা।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১২৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন নাঈম শেখ ও লিটন দাস।

দুজনের ব্যাটে টাইগারদের শুরুটা হয় দারুণ। কিন্তু অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে কোল ম্যাককনির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন লিটন। এই ওপেনার ১১ বল খেলে করেন ১৫ রান।

তিনে নেমে মাহেদী হাসান করেন ১ রান। অন্যদিকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন সাকিব। তার আউট হওয়ার ধরণে মনে হতে পারে, ব্যাট করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা ছিল না। এই দুজনকে একই ওভারে ফেরান এজাজ প্যাটেল।

আরেক ওপেনার নাঈমও এদিন ব্যর্থ। রাচিন রবীন্দ্রর মামুলি বল খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ১৩ রান করা এই ব্যাটসম্যান। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টি-২০ ম্যাচ খেলতে নামা টাইগার দলপতি রিয়াদ ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। পরের বলে গোল্ডেন ডাক মারেন আফিফ হোসেন।

নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুজনেই করেন ৮ রান। শেষদিকে মুশফিকের অপরাজিত ২০ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে।

কলিন ডি গ্রান্ডহোমের বলে মুস্তাফিজ আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের বড় পরাজয়। ব্ল্যাকক্যাপসদের হয়ে এজাজ প্যাটেল একাই ৪ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ম্যাককনি নেন ৩ উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। কিউইদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ফিন অ্যালেন ও রাচিন রবীন্দ্র। মাহেদী হাসানের করা প্রথম ওভারেই দুটি চারের সাহায্যে ১১ রান তোলেন দুই ওপেনার। পূর্বাভাস দেন ঝড়ো শুরুর।

এমতাবস্থায় তৃতীয় ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানকে আক্রমণে আনেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিজের প্রথম ডেলিভারিতেই ফিন অ্যালেনকে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজ। রিয়াদের তালুবন্দী হওয়ার আগে এই ওপেনার ১০ বলে ১৫ রান করেন।

এরপর উইল ইয়ংকে নিয়ে ৩০ রানের জুটি গড়েন রবীন্দ্র। তিন বলের মাঝে ইয়ং ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে একইভাবে লেগ বিদোরের ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ইয়ং ২০ রান করলেও গ্রান্ডহোম রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

বড় ইনিংসের আশা দেখানো রবীন্দ্রও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টি-২০ ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপরই মাহেদী হাসানের বলে কট এন্ড বোল্ড হন ৫ রান করা টম লাথাম।

মাত্র ৬২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে নিউজিল্যান্ড। তবে হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেলের দৃঢ়তায় তা হয়নি। দুজনে গড়েন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের অনবদ্য এক জুটি।

শেষ পর্যন্ত ৬৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ব্লান্ডেল ও নিকোলস। দুজনে অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ৩০ ও ৩৬ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে দুই উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মাহেদী, রিয়াদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগামী বুধবার মুখোমুখি হবে দুই দল।

ওআ/