ন্যাভিগেশন মেনু

রেফারীর বাঁশীতে কিংস এর স্বপ্নভঙ্গ


আবারও রেফারীর প্রশ্নবিদ্ধ বাঁশী। আবারও কিংসের একেবারে নিকটে গিয়ে ফিরে আসা। এবারও পারলো না বসুন্ধদরা কিংস। তিনবারের প্রচেষ্টায়ও কাক্ষিত লক্ষ্য এএফসি কাফের নক আউট পর্বে পৌঁছুতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। প্রত্যেক বারই তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদন্ধি বা বড় বাধা যতখানি না ভারতেরই কোনানো কোন টিম গত দুবার তার চেয়ে বেশী বাধা হয়ে দাঁড়িছেন রেফারীর বাঁশী। এর মধ্যে প্রথম দূবার মোহন বাগান এবং এবার ওড়িষ্যা। তবে পরপর গতদুবার রেফারীর ভ’মিকা ছিল অত্যন্ত পিড়া দায়ক।

গেলো সোমবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে রেফারী রিতিমতো আন্যায়ভাবে কিংস ডিফেন্ডার গাফুরভকে লালর্কাড দেখান, যা টিভি রিপ্লেতেও স্পষ্ট দেখা যায় যে তিনি লালকার্ড পাওয়ার মতো তেমন কোন ফাউলই করেন নি।

বলতে হবে এবারই সবচেয়ে সূর্বন সূযোগটা হারিয়েছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা, কিংস গ্রুপ পর্বের প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটিতে হারার পর দাপটের সাথে পরের চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে এবং একটিতে ড্র করেগ্রুপপের র্শীষে ওঠে। তারপর নক আউট পর্বে ওঠার জন্য শেষ ম্যাচে প্রয়োজন পড়্ এেকটি ড্র, গত রাতে তা করতে র্ব্যথ হয় বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে বড় দলটি। এই গ্রুপপের (গ্রুপ ডি) এবং গত দূবারের সব সবচেয়ে বড় বাধা মোহন বাগানের মাঠে ফিছিয়ে পড়েও ২-২ গোলে ড্র এবং নিজেদের মাটিতেও প্রথমে পিছিয়ে থেকে ২-১ গোলের অসাধারণ এক জয় পায়। মালদ্বীপের মাটিতে মাজিয়ার বিরুদ্ধে অসাধারণ এক ম্যাচ খেলে ৩-১ হারার পর, আর পেছনে তাকায়নি তারা, মাজিয়াকে তাদের মাঠে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপপে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে চলে যায়, আর শেষ ম্যাচে প্রয়োজন হয় শুধু মাত্র একটি ড়্র। কিন্তু গত সোমবার রাতে ওড়িষ্যার মাটিতে সেই কাক্ষিত একটি মাত্র পয়েন্ট অর্জনে র্ব্যাথ হয়, কারণ বিরতিতে যাওয়ার কিছু সময়ের আগ থেকে বাকি পুরোটা সময় তাদের দশজন নিয়ে খেলতে হয়। ফলে আঞ্চলিক সেমিফাইনালে ওঠার একেবারে দোরগোড়া থেকে ফিরতে হয় বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়দের।

বিরতির বাঁশির কিছুক্ষণ আগে অভাবনীয়ভাবে একটি এড়িয়ে যাবার মতো ফাউলের জন্য রেফারী কিংস এর ডিফেন্ডার গফুরভকে লাল র্কাড দেখিয়ে বের করে দেন। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান গফুরাভ। অবাক বিস্ময়ে মাঠে থাকা সবাই রেফারীর এমন বিস্ময়কর সিদ্ধাস্তে হতবাক হয়ে যান সবাই।

এমন ভুল সিধান্তের পর কিংস অনেকটাই এলোমেলো হয়ে যায়। প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ের কিছুটা আগ থেকে শুরু করে বাকি সময়টা দশজন নিয়ে খেলতে গিয়ে ছন্দে থাকতে পারেনি কিংস খেলোয়াড়গন। শেষ পর্যন্ত ৬১ মিনিটে খাওয়া গোলে হেরে অপ্রত্যাশিতভাবে মাঠ থেকে বিদায় নিতে হয় বসুন্ধরা কিংসকে। বলতে গেলে ২০২১ সনেও তাদের এভাবেই বিদায় নিতে হয়, সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল ভারতেরই আরেক টিম মোহন বাগান। ঠিক একই কায়দায় অন্যায়ভাবে বিরতির কিছু পূর্বে লালকার্ড দেখানো হয়েছিল কিংস এর তখনকার ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরাকে, তখন কিংস ম্যাচে এগিয়েছিল ১-০ গোলে। কপাল পোড়ে কিংস এর, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায়ও ব্যার্থ হয় কিংস।

গত ম্যাচটিতে তেমন দাপুটে খেলা খেলতে না পারলেও কিংস হেরে যাবে এমনটা খারাপ খেলে নি। আর যেহেতু ড়্র করলেই চলবে, সেই পরিকল্পনাতেই ম্যাচ এগুচ্ছিল, সূযোগবুঝে গোল করার জন্য আক্রমনে যাচ্ছিল। এতে স্বাগতিকদরা তুলনা মূলকভাবে কিছুটা বেশী প্রাধান্য নিয়ে খেলছিল কিন্তু রেফারীর বির্তকিত ভ’মিকা বসুুন্ধরা কিংসকে অনেকখানি দূর্বল করে দেয়। মজার ব্যাপার হলো এএফসির ওয়েভ সাইট থেকে খেলার ঐ অংশ টুকু ডিলিট করা হয়েছে।

দশ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর এদিন দলের প্লেমেকার রবসনও তাঁর স্বাভাাবিক খেলা খেলতে পারেন নি। মিগুয়েলকে আক্রমন থেকে সরিয়ে নীচে নিয়ে আসতে হয় ফলে দলের আক্রমন ভাগের সবচেয়ে বড় শক্তি ব্রাজিলিয় ত্রিফলা –রবসন-মিগুয়েল-ডরিয়েলটন এর সম¤œয় ভেঙ্গে যায়। ফলে কিংস শেষের দিকে সেরকমভাবে ক্ষুরধার আক্রমন অনেকটাই ব্যহত হয়। শেষ পর্যস্ত হেরেই মাঠ ত্যাগ করতে হয় কিংস আর তৃতীয়বারের মতো তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয় রেফারীর বাঁশীতে।