শেরপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন ও ভেজাল কেমিক্যালের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান পলিথিন ও ভেজাল কেমিক্যাল জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় দুই জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে শহরের নয়ানী বাজারে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৮ ১৮ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন, পাঁচ হাজার কৌটা অনুমোদনহীন জর্দা, ২০০ লিটার অবৈধ কেমিক্যাল ও ফুড কালার জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের সোহান ষ্টোর, ভাইবোন ট্রেডার্স, ও খুশবো স্টোর ও তাদের গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিপুল পরিমান অনুমোদনহীন ফুড কালার, কেমিক্যাল ও পলিথিন জব্দ করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবসায়ী আরশাদ আলীকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং ছয় মাসের জেল এবং অন্যজনকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, র্যাব-১৪-এর কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব- ১৪-এর সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার স্কোড্রন লিডার আশিক উজ্জামান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান করে থাকি। তারই অংশ হিসেবে আজ আমাদের এই অভিযান। এর আগে এসব প্রতিষ্ঠানে বারবার অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও অবৈধ পলিথিনের ব্যবসা করে আসছে তারা। আজ তাদের জরিমানা ও কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।’
র্যাব-১৪-এর এএসপি সবুজ রানা বলেন, ‘আমি কোম্পানি কমান্ডার থাকাকালীন তিনবার জরিমানা ও কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছিল। তারপর আবার একই ব্যবসা শুরু করেছে। আজ পলিথিনের পাশপাশি খাদ্যে ভেজাল অনুমোদনহীন ফুড কালার ও অনুমোদনহীন জর্দা জব্দ করি।’
শেরপুর জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট ডি. এম সাদিক আল শাফিন বলেন, ‘র্যাব-১৪ অভিযান চালায়। পরে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আমাকে পাঠায়। পরে আরশাদ আলী নামে এক অবৈধ পলিথিন ও ভেজাল কেমিক্যাল ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি আরেক প্রতিষ্ঠানের মালিক পলাতক থাকার তার কর্মচারী সাইদুল ইসলাকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
এমএইচ/এডিবি/
