ন্যাভিগেশন মেনু

সারিয়াকান্দিতে ৪র্থ দফায় বন্যার অবনতি


বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে, উভয় নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শত শত হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ তলিয়ে গেছে।

শনিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে যমুনার পানি ১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে বাঙালী নদীর পানি বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে নতুন করে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। যমুনার পানি সামান্য কমলেও বাঙ্গালী নদীর পানি আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঙ্গালী নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকার লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ৪র্থ দফায় বন্যায় কৃষকদের আমন ধান শাকসবজি ও  চরাঞ্চলের কৃষকের আউশ, মরিচ, রোপা আমন, বীজতলা, শাকসবজি ও গাইঞ্জা ধানের আবাদ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে।

বাঙ্গালী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুনভাবে বন্যায় সারিয়াকান্দি পৌরসভার দক্ষিণ হিন্দুকান্দি, পারতিত পরল, চান্দিনা নোয়ারপারা, নিজবরুরবাড়ী, ছাগলধরা, ডোমকান্দি, বাসহাটা, ভেলাবাড়ী, হাটশেরপুর ইউপির হাসনাপারা, শাহানবান্দা, চর এলাকার বোহাইল, কর্নিবাড়ী, কাজলা, চালুয়াবাড়ী, হাট শেরপুর ও সদর ইউনিয়নের নিচু এলাকার ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কৃষকদের শত শত হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকেরা।

সিবি/এডিবি