ন্যাভিগেশন মেনু

৫ বছরে জোড়গাছা ইউনিয়নে ১৩০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন


বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ৪নং জোড়গাছা ইউনিয়নে ১৩০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রথম ওই ইউনিয়নে চোখে পড়ার মতো উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে উন্নয়ন কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইউনিয়নের ৭টি রাস্তা কার্পেটিং, প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি প্রতিষ্ঠানে ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে দুইটি আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মাণ, ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঙালী নদীর ৩টি পয়েন্টে নদী শাসন, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঙালী নদীর পোড়াপাইকড়ে নদীর ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা, ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি কালভাট নির্মাণ, প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে শতাধিক রোড লাইট স্থাপন, দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০টি পরিবারকে মাথাগোঁজার ঠাই করে দেওয়া, জায়গা আছে ঘর নেই এমন ৪১ ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মাণ, ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ঘর নির্মাণ।

এছাড়াও ১৮শ পরিবারকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় আনা, ১৩শ পরিবারকে ভিজিএফের আওতায় আনা, ৮ হাজার পরিবারকে ১০টাকা কেজিতে চালের সুবিধা প্রধান, ৭ হাজার পরিবারকে করোনাকালীন অনুদান প্রদান, দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ৮২টি মসজিদের সংস্কার ও উন্নয়ন। এছাড়াও ১ কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিএসপির আওতায় ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা হেয়ারিং করণ।

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোস্তম আলী মন্ডল জানান, স্বাধীনতার পর গত প্রায় ৫ বছরে তার ইউনিয়নে প্রায় ১৩০ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যা চোখে পড়ার মতো। প্রয়াত এমপি আব্দুল মান্নানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এসব উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়নের সবকটি কাচা রাস্তায় মাটি ভরাট করার পাশাপাশি কার্পেটিং করণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রোস্তম আলী বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৬ সালের ৩রা আগস্ট তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এএসবি/এমআইআর/ এডিবি