ন্যাভিগেশন মেনু

অভিনেত্রী আশার মৃত্যু, মোটরসাইকেল চালকের জামিন


রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় তরুণ অভিনেত্রী আশা চৌধুরী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার মোটরসাইকেলের চালক শামীম আহমেদকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবুবকর সিদ্দিকের আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

গত ৬ জানুয়ারি আসামি শামীম আহমেদকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দারুসসালাম থানার উপপরিদর্শক সোহান আহমেদ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে এ মামলার এজাহারে আদালতে পৌছালে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৬/৭ বছর যাবৎ আসামি শামীম আহমেদের সঙ্গে নিহত আয়শা আক্তার আশার পরিচয়ের সুবাদে তাদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সেই সম্পর্কে সুবাদে আসামি শামীম আশাদের বাসায় প্রায় যাতায়াত করতো। এতে আশার পরিবার শামীমকে বিশ্বাস ও স্নেহ করতো। যার কারণে আসামি শামীম মাঝে মধ্যে আয়েশাকে তার অফিস এবং মিডিয়ার কাজে আসা যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করতো।

মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, গত ৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে বনানী অফিস হতে আয়েশা বের হওয়ার সময় তার বাবাকে ফোন দিয়ে জানায়- আমি কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় আসতেছি। এরপর রাত পৌনে ১১টার দিকে পুনরায় আশা তার বাবাকে ফোন দিয়ে জানায়- বাড়ির কাজের ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছে। কাজ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমি শামীম ভাইয়ের সঙ্গে চলে আসবো। পরবর্তীতে রাত পৌনে দুইটার সময় শামীম ফোন করে জানায়, আশা আর নেই। টেকনিক্যাল মোড়ে একটি অজ্ঞাত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, আসামি শামিম আহাম্মেদ বেপরোয়া দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে দুই ট্রাকের চিপার মাঝখান দিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় সামনের ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে আয়েশা আক্তার শামীমের মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এরপর পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি অজ্ঞাত ট্রাক আশাকে চাপা দিলে মাথা ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত জখম হয়ে। যার ফলে আশা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি আয়শা আক্তার আশার পিতা মো. আবু কালাম বাদী হয়ে রাজধানীর দারুসসালাম থানায়  সড়ক পরিবহন আইনের মামলা করেন। ওইদিন আসামি শামীম আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, আশা চৌধুরী বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত ছিলেন। একক নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন তিনি। এছাড়া টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিক নাটকেও তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ তিনি রুমান রুনি পরিচালিত ‘দ্য রিভেঞ্জ’ নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। আয়শা আক্তার আশা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারে পড়ছিলেন।

ওআ/