ন্যাভিগেশন মেনু

এবার চলে গেলেন রাবেয়া খাতুন, প্রধানমন্ত্রীর শোক


বাংলাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই। আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গুণী এই ব্যক্তির প্রয়াণে শোকাহত সাংস্কৃতিক অঙ্গন।

আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টায় সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাবেয়া খাতুনের মরদেহ রাখা হবে। এরপর বিকেল ৩টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাঁকে।

রাবেয়া খাতুন স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমিসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। সাহিত্যের সকল শাখায় ছিল তাঁর সফল বিচরণ। তার প্রকাশিত শতাধিক গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে উপন্যাস, গবেষণাধর্মী রচনা, ছোটগল্প, ধর্মীয় কাহিনী, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথা ইত্যাদি।

রাবেয়া খাতুনের লেখা অসংখ্য নাটক, জীবন্তিকা ও সিরিজ নাটক রেডিও, টিভিতে প্রচারিত হয়েছে । তার গল্পে নির্মিত হয়েছে কয়েকটি চলচ্চিত্র। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি ‘মেঘের পরে মেঘ’। এছাড়া ‘মধুমতি’ এবং ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ ছবি দুটি প্রশংসিত হয়েছে।

লেখালেখির পাশাপাশি শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা করেছেন রাবেয়া খাতুন। তাঁর নিজস্ব সম্পাদনায় পঞ্চাশ দশকে বের হতো ‘অঙ্গনা’ নামের একটি মাসিক পত্রিকা।

১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই সম্পাদক ও চিত্র পরিচালক এটিএম ফজলুল হকের সাথে রাবেয়া খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের চার সন্তান। তারা হলেন- ফরিদুর রেজা সাগর, কেকা ফেরদৌসী, ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী।

এস এস