ন্যাভিগেশন মেনু

ভাতিজীকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা মামলায় কাকার ৪০ বছরের কারাদণ্ড


দেশের উত্তর জনপদ জেলা জয়পুরহাটে নিজের বড় ভাইয়ের মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় এক ব্যক্তিকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামে ১৩ বছর বয়সী ওই মেয়েটিকে ধর্ষণের মামলায় একই সঙ্গে আসামি মাসুদ রানাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক রোস্তম আলী এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজ আদালতের পিপি নৃপেন্দ্রনার্থ মন্ডল। মাসুদ রানা সদর উপজেলার হরিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। তার অনুপস্থিতিতেই রায় দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালের ৩০ জুন দুপুরে জয়পুরহাট সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির পাশে একটি মাঠে যায়।

এ সুযোগে আপন চাচা মাসুদ রানা সেখানে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে মাসুদ রানা পালিয়ে যায়। নিজের চাচা দ্বারা ধর্ষণের স্বীকার হওয়ায় ২ জুলাই ওই কিশোরী লোক-লজ্জা সহ্য করতে না পেরে নিজ ঘরে কীটনাশক সেবন করে।

ওই অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করলে সেই রাতেই তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় পরদিন কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেওয়ান আসাদুল হক।

আদালতের পিপি নৃপেন্দ্রনার্থ মন্ডল বলেন, ওই কিশোরী লোক-লজ্জায় সেদিন আত্মহত্যা করেছিল। আদালত এ মামলার দুটি ধারায় চাচা মাসুদ রানাকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক আছে। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এ রায় কার্যকর হবে।

এস এস