শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্যে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা বিশেষ প্রয়োজন। আমরা অনেকেই রাতে দেরিতে ঘুমানোর কারণে সকালে উঠতেও দেরি করি। তবে এটা একদম ঠিক না। সকালে ঘুম থেকে উঠা কষ্টকর হলেও উপকারিতা অনেক।
চলুন জেনে নিই যেসব কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠা প্রয়োজন -
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে:
যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করেন, তাদের সারাদিনের খাওয়ার নিয়ম একটি সুনির্দিষ্ট রুটিনের আওতায় চলে আসে। প্রতিবেলায় সময়মতো খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভবনা কমে যায় অনেকটা। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা সহজ হয় যায় যে কারও জন্যেই।
মানসিক বিষণ্নতা দূর করতে:
যারা সকালে ঘুম থেকে উঠেন তাদের মানসিক বিষণ্নতা তুলনামূলক অনেক কম থাকে। ঘুম ও জাগরণের রুটিনে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিলে মন ও শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
গবেষণা থেকে জানা যায়, দেরিতে ঘুমানোর সাথে বিষণ্নতার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। কারণ ঘুমের সময়ে ব্যঘাত ঘটলে হরমোন নিঃসরণে সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে মানসিক বিষণ্নতা ও অবসাদ দেখা দেয়।
সঠিক সময়ে ক্ষুধা:
সারারাত ঘুমিয়ে সকালে উঠার পর স্বাস্থ্যকর নাস্তা খাওয়া ভীষণ প্রয়োজন। কারণ ৬-৮ ঘণ্টা অভুক্ত থাকার পর শরীরে পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সময় ঘুমিয়ে অনেক দেরি করে ঘুম থেকে উঠার পর শরীর আর খাদ্যগ্রহণ করতে চায় না। ফলে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়।
তবে বিপরীত সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের ক্ষেত্রে। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার পর দেখা দেয় তীব্র ক্ষুধাভাব। যার ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায়। ক্ষুধামন্দা অথবা অতিরিক্ত ক্ষুধাভাব, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সুস্বাস্থ্যের জন্য সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠে, পুষ্টিকর খাদ্য সঠিক পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
শরীরচর্চার জন্য সঠিক সময়:
সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হলো, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার পর হাতে বেশ অনেকটা সময় পাওয়া যায়। দিনের শুরুতেই ঘণ্টাখানেক সময়ের জন্য শরীরচর্চা করার অভ্যাসটি সারাদিনের কাজের এনার্জি এনে দেয়, সাথে ফিট রাখে শরীরকেও।
সিবি/এডিবি/
