ন্যাভিগেশন মেনু

আমলকির যতো গুনাগুণ


আমলকির ভেষজ গুণ অনন্য। এর ফল ও পাতা দুটিই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আয়ুর্বেদে এমন অনেক ফলের বিষয় উল্লেখ রয়েছে, যা গ্রহণ করলে নানান রোগ থেকে মুক্তির পাশাপাশি ত্বকও উজ্জ্বল হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আমলকি। এতে সব ধরণের জরুরি মিনারেলস ও ভিটামিন থাকে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

আসুন জেনে নিই আমলকির গুনাগুণ সম্পর্কে-

খাওয়ার নিয়ম:

কাঁচা আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে অল্প গরম পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। আমলকি মিশ্রিত পানি সকালে খালি পেটে পান করুন। পরে আমলকির টুকরোগুলোও খেয়ে ফেলুন।

উপকারিতা

  • দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আমলকি সাহায্য করে। মধুর সঙ্গে এক চামচ আমলকির পাওডার মিশিয়ে খেলে চোখের ছানির সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।
  • ফোড়ন দেওয়া আমলকির রস পান করলে জ্বর কমানো যায়। এ ছাড়া, দাঁতে ব্যথা ও ক্যাভিটি হলে আমলকির রসে সামান্য কর্পূর মিশিয়ে মাড়িতে লাগালে স্বস্তি পেতে পারেন।
  • যে কোনও উপায় আমলকি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এ ছাড়া হিচকি উঠলে বা বমি হলে আমলকির রসে মিশ্রি মিশিয়ে দিনে দু-তিন বার পান করলে স্বস্তি পেতে পারেন।
  • মুখের দাগ-ছোপ দূর করে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আমলকি উপকারী। এর পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগালে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়। এ ছাড়া বলিরেখাও কমে যায়।
  • স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এর রস কাশি ও ফ্লু-র পাশাপাশি মুখের ঘা নিরাময়েও উপকারী। দু'চামচ আমলকির রসে দু'চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার মুখের ঘা সারিয়ে তোলার জন্য জলে দু'চামচ আমলকির রস মিশিয়ে গার্গল করলে উপকার পেতে পারেন।
  • নিয়মিত এর রস পানের ফলে কোলেস্ট্রলের স্তরও কমানো সম্ভব হয়। এর ফলে শরীর সুস্থ থাকে। এতে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে হার্টের কার্যকরিতা যথাযথ থাকে।
  • শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা, যেমন অ্যাজমা নিরাময়ে আমলকি উপযোগী। এর পাশাপাশি ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও পাচনতন্ত্রের সুষ্ঠু কার্যকরিতার জন্য আমলকি ফলদায়ক।
  • লিভার সুস্থ রাখতে আমলকি সহায়ক। এর ফলে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে নির্গত হয়।
  • ভিটামিন সি ছাড়াও আমলকিতে আয়রন, ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস থাকে। ফলে শরীরে পুষ্টির জোগান অব্যাহত থাকে।
  • চুলের জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে আমলকি। এতে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড এবং প্রোটিন চুল বড় করে, চুল পড়া রোধ করে ও গোড়া মজবুত রাখে।

এস এ/এডিবি/