ন্যাভিগেশন মেনু

শেষ হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশ জুবিলি লিট ফেস্ট


জাবি প্রতিনিধি:

ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ইংলিশ জুবিলি লিট ফেস্ট সফলভাবে শেষ হয়েছে।

সবার জন্য উন্মুক্ত সাহিত্য উৎসবটি প্রতিদিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে রাত পৌণে ১২টা পর্যন্ত জুম মাধ্যমে নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। 

উৎসবের শেষ সেশনটি রবিবার (১৪ মার্চ) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিশেবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। 

করোনাকালীন ধকল, দুশ্চিন্তা ও ট্রমা থেকে উত্তরণে বুদ্ধিবৃত্তিক অনলাইন যোগাযোগ, জ্ঞান ও ভাবনার বিনিময়মূলক আলাপচারিতা উসকে দিতে এবং এর মাধ্যমে দেশ-বিদেশের মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া ও সহমর্মিতা বাড়াতে এই সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করেন জাবির ইংরেজি বিভাগ।  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ১২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করেন। 

পুরো লিট ফেস্ট জুড়ে ছিলো নানা আয়োজন। লিটফেস্টে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ১৮টি আকর্ষণীয় সেশনে দেশ বিদেশের ৪০ জনেরও বেশি লেখক, গবেষক, পণ্ডিত, অনুবাদক, চলচ্চিত্র পরিচালক ও তরুণ প্রতিভাবান ব্যক্তি অংশ নেন।  

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ও অনন্য এই অনলাইন সাহিত্য উৎসবে দেশের খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিকদের পাশাপাশি বিদেশি কবি, সাহিত্যিকরাও  অংশ নেন।

কানাডার বিখ্যাত দুই কবি জন লি ও রিচার্ড এম গ্রোভ ছাড়াও আমেরিকান দার্শনিক লুইস গর্ডন, ভারতের শুভব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক হরিশ ত্রিবেদি, গণেশ দেবী, ইরাকের ফারশিদ কাজেমি, চিনের পর সাইয়িং ডুয়ান, এবং কোরিয় চলচ্চিত্র গবেষক মিশেল কিম উৎসবে অংশ নেন।

উৎসবের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাশরুর শাহিদ হোসেন বলেন, “পুরো উৎসবটা রাতের বেলা হলেও অনেক দর্শক এতে অংগ্রহণ করেছেন। যদিও উৎসবে আমরা কোনো প্রশ্নত্তোর পর্ব রাখিনি তারপরও দর্শকরা চ্যাটবক্সে সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছেন। এটাই প্রমাণ করে যে, মানুষের মাঝে সাহিত্যের তৃষ্ণা এখনো রয়েছে। তারা বিষয়গুলো জানতে চায়, তৃষ্ণা মেটাতে চায়।” 

উৎসব কমিটির সদস্য কাজী আশরাফ উদ্দিন বলেন, “যেকোনো লিট ফেস্টের মতোই ইংরেজি বিভাগ আয়োজিত এই সাহিত্য উৎসবটিও সমকালীন সাহিত্যিক, নন্দনতাত্ত্বিক, তাত্ত্বিক, সৃষ্টিশীল এবং ঐতিসাহিসিক পাঠের এবং আলাপের একটি উপলক্ষ হয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস। এই আয়োজনের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হলো বাংলা, বাংলাদেশি অন্যান্য প্রান্তিক সাহিত্য, চলচ্চিত্র, অনুবাদ, এবং অন্যান্য সৃষ্টিশীলতার ধারাগুলোকে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরা।”

তিনি আরও বলেন, “মহামারিকালীন এই পরিবর্তিত বিশ্বে পরিবর্তনকে মেনে নিয়ে তার মধ্য থেকে আমাদের মননশীলতার সেরাটি বের করে আনাই আমাদের এই আয়োজনের অন্যতম স্লোগান। সামাজিক দূরত্বকে মেনে নিয়ে আন্তর্জাতিক মাধ্যমে আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সমৃদ্ধিই এই আয়োজনের অন্যতম অর্জন বলে মনে করি।"

এইচএস/এসএ/এডিবি