ন্যাভিগেশন মেনু

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে টক দই


তিব্র গরমে শরীর শুকিয়ে যায়, ঘন ঘন গলা শুকিয়ে আসে। এ সময় পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি বিভিন্ন তরল খাবারও খাওয়া প্রয়োজন। তবে যদি রোজা একটু করে টক দই খেতে পারেন তবে সেটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার পাবেন।

টক দই এমন একটি খাবার যা শরীর যেমন ঠান্ডা রাখে, তেমন কাজ করার শক্তিও দেয়। এ ছাড়াও গরমে টক দই খেলে আরও অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।

চলুন জেনে নিই টক দইয়ের উপকারিতা-

> রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়: টক দইয়ে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া বা প্রবায়োটিক শরীরের জন্য খুব উপকারী। প্রতিদিন টক দই খেলে যে কোনো সংক্রামক রোগের আশঙ্কা কিছুটা কমে। গরমের সময়ে সংক্রমণের হার বাড়ে তাই এ মৌসুমে টকদই খাওয়া বেশি জরুরি।

> ত্বকের যত্ন: টক দইয়ে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে। তা ছাড়াও এতে জিঙ্ক, ফসফরাস পাওয়া যায়। এসব উপাদান ত্বকের জন্য খুব ভালো। নিয়মিত টক দই খেলে ত্বক কিছুদিনের মধ্যে পরিষ্কার ও সতেজ দেখাতে শুরু করে। গরমের সময়ে ঘাম বেশি হওয়ায় মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ে। নিয়মিত টক দই খেলে সেই ছাপটা আর থাকে না।

> হজমশক্তি বাড়ায়: গরমে অনেকেরই পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নিয়মিত টক দই খেলে পাকস্থলীর সংক্রমণ কমে। সেই সঙ্গে হজমশক্তি বাড়ে। টক দইয়ে ফ্যাট খুবই কম থাকে। তাই কম ফ্যাটযুক্ত টক দই ক্ষতিকর কোলেস্ট্রোরেল এলডিএল কমাতে সাহায্য করে। যাদের দুধ সহ্য হয় না বা ল্যাক্টোজ ইন টলারেন্ট রয়েছে। তারা দুধের বিকল্প হিসেবে টক দই খেতে পারেন। কারণ টক দইয়ের আমিষ দুধের থেকে সহজে ও অনেক কম সময়ে হজম হয়। টক দই রক্ত শোধন করতে সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এ ছাড়াও ডায়াবেটিক ও হার্টের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। সেইসঙ্গে নিয়মিত টক দই খেলে তা অন্য খাবার থেকে পুষ্টি নিয়ে শরীরে সরবরাহ করতে সাহায্য করে। ফলে পুষ্টির কোনো সমস্যা দেখা দিবে না। কম ফ্যাটযুক্ত টক দই একটি ভালো নাস্তা। কারণ এটি খেলে পেট ভরা মনে হবে। তাই পুষ্টিহীন খাবার বা জাঙ্ক ফুড না খেয়ে পুষ্টিকর টক দই খেতে পারেন। যা ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

সিবি/এডিবি